Search This Blog

না



ওখানে যেয়ো না তুমি
ওদিকে যেয়ো না।
এটা করো না তুমি,
ওটা করো না।

একথা বোল না তুমি,
ওকথা তো কক্ষনোই নয়।
ওর সাথে মিশো না তুমি
এর সাথেও না।

এটা খেয়ো না তুমি
ওটাও খেয়ো না।
এ বই পড়ো না তুমি
ও বইও না।

প্রতিদিন এরকম হাজারো না শুনতে শুনতে বড় হচ্ছে। ৩০ শে পদার্পণ করেও আজও আমি শুনি। এই সব না শুনতে শুনতে শুরু করেছি আমিও না বলা। না, না, না।

আমাদের বাচ্চাগুলো কী শিখবে? না, না,  না!!! নাকি, না কে না বলে করবে মনে চায় যা। একসময় সত্যি কারের না গুলকেও না বলে করে ফেলবে কোন না।
ঝড়ের পাখি
৩১-১২-১৪

উষ্ণতা


বন্ধু চলো আগুন বেঁচি, শিশির ভেজা জল;
সেই জলেতে দুঃখ আমার করছে টলমল।
হাত বাড়ালেই হাত মেলাবো, পা বাড়ালেই পাপ!
শরীরে মিললেই পাবে তাপ- হবে অনুতাপ।
বিচ্ছিরি এক বদখিচ্ছিরি, হতচ্ছাড়া আমি-
তোমার ছোঁয়ায় দেখো- হবো ভীষণ দামী!
রাখবো তোমায় বুকে ধরে কালন্তরে দিবাযামী,
শীতে দেবো উষ্ণতা আর ভালবাসার হামি।


ঝড়ের পাখি
০৩-১২-২০১৪
অক্ট্রয় মোড়, রাজশাহী।
looking for উষ্ণতা.

নারীবাদী

নয়নের জলে তোমার ছবি আঁকবো নয়নাভিরাম,
বনবাসী সীতা তুমি- আমি স্বার্থপর রাম।

রাবন থেকে বাঁচিয়ে তোমায় আগুনে ফের পোড়াব;
তোমায় পেয়ে ইচ্ছা করে আবার স্বেচ্ছা হারাবো।

রাবনের না হতে দেবো- আমার রানী না বানাবো-
ইচ্ছে মতন ভাঙবো তোমায়- রাগ অভিমান ভুলাবো।


ঝড়ের পাখি
২১-১২-১৪

জুটি

ভালবাসার ইঁদুর দৌঁড়ে তুমি হবে জুটি,
আমি টম- তুমি জেরী; করবো ছুটাছুটি।
ইচ্ছে মতন লাগবো পিছে- নিত্য খুনসুটি।
তুমি আমার ডোবা জলে- হারিয়ে যাওয়া পুঁটি।


ঝড়ের পাখি
২৯-১১-১৪

ব্যস্ততা

তোমাকে আর ডাকবো না কক্ষনো
করবো না আর বৃথা জ্বালাতন
তোমার মন চাইলেই এসো
না হয় ইচ্ছে ডানায় ভাসো।
আমি বলবো না তোমাকে
বলবো না সে কথা-
হাজার অনুনয়েও
মিছে করবো না যা তা।
আমি হবো ভীষণ হিসেবী,
করবো কারবারি- মোসেহেবী-
আনা-পাইয়ের হিসবা কসে
হবো দূরবাসী।
চাইলেও আর পাবে না সময়
হবে তুমি আমার স্মৃতিময়;
বুঝবে সেদিন- ইচ্ছে হলে
সব কিছু কি আর মেলে?
খুনসুটি গুলো বিঁধবে তোমায়
পাগলামি গুলো বাঁধবে তোমায়
আমার তখন ব্যস্ত সময়
অর্থের আল্পনায়।

 ঝড়ের পাখি
২৯-১১-১৪
অক্ট্রয় মোড়, রাজশাহী।

অপেক্ষা

তুমি আসবে কবে? বলে দিলেই পারো।
হুদা, হুদাই, কেন অপেক্ষাতে রাখো?
জানোই তো- অপেক্ষাকে ভীষণ ভয় পাই,
আস্তে আস্তে রাগতে শুরু করি।
বন্ধু তোমার হাতে ধরি, পায়ে পড়ি-
লক্ষ্মীটি আসো তাড়াতাড়ি।
রাত যে হল গভীর কালো;
নিভেছে শহরের সব আলো।
আমি শুধু তোমার প্রতীক্ষায়;
আর কতক্ষণ রইবো অপেক্ষায়?


ঝড়ের পাখি
২৯-১১-১৪
অক্ট্রয় মোড়, রাজশাহী।

ক্ষুদ্র

যতটা আঘাতে সবকিছু ভেঙে পড়ে
ততটা আঘাতেও দাঁড়িয়ে আছি--
পলকহীন শুষ্ক চোখে-
যতটা অবহেলায় ঘাস মরে যায়-
অবহেলায় প্রাণ ফিরে পেয়েছি;
ভালবাসতে শিখেছি আবারো উদ্দীপনায়।

তোমারে চোখে আজও আমি অদৃশ্যমান অণুজীব;
তোমার মনের যন্ত্রে যা ধরা পড়ে না;
জানোই সকল প্রাণের শুরুই সেই থেকে।
তবুও তুমি ব্যস্ত সংকটাপন্ন নীল তিমি
আরা শ্বেত হাতী নিয়ে।
আমি মরবো- আবার জন্মাবো তোমায় ভালবেসে।

ঝড়ের পাখি
২৮-১১-১৪
নৃবিজ্ঞান বিভাগ, রা বি।

বিমূর্ত ভালবাসা

তুমি তেমনই আছো-
যেমনটি দেখেছিলাম কোন এক মেঠো পথে।
তেমনই আছো; একরাশ মুগ্ধতা আমার চোখে।
নাকি আমিই বদলায় নি?
আছি সেই চোদ্দ বছরের প্রেমিক-কিশোর।
তাইতো আজো প্রেমে পড়ি-
পড়ে হৃদয়টা আবারো গেছে ছিরে-ছুলে।
অয়েন্টমেন্ট হবে না জানি সে ক্ষতের!
সময় কোথায়? কিংবা হারিয়েই গেছো ......
ভাত-রুটি আর সংসারী অভিনয়ের ব্যস্ততায়।
আমিও সবকিছুর সাথেও নস্টালজিক
তোমার প্রেমে...
আমি এক আপেক্ষিক, বিমূর্ত, অস্তিত্বহীন প্রেমিক।


ঝড়ের পাখি
২৮-১১-১৪
ক্যাম্পাস, রাবি।

চাওয়া

তোমাকে পাই না বহুদিন!
না দর্শন! দীর্ঘ ...... পেয়েছি স্বর!
তারপর অখণ্ড অবসর.........।
তুমি আছো তোমার রাজা আর রাজত্ব নিয়ে...
আমি নগণ্য প্রজা তোমার-
থাকি কুড়ে ঘরে।
চালার ফাকায় জোছনা ঝড়ে!

স্পর্শ চাইনা! দর্শনও না! স্বরও না!
তবুও চাই তোমায়-
জানি না ক্যমনে?

ঝড়ের পাখি
২৮-১১-১৪
ক্যাম্পাস, রা বি।

ভালবাসা ফেসবুকে

বার বার ঘুরে আসি চ্যাট বক্সে-
দেখি তোমার নামের পাশে সবুজ বাতি জ্বলছে কি না?
না পেয়ে ফিরে আসি-
এত সবুজ বাতির ভিড়ে- তোমার টাই শুধু ফিকে!
আমিও যে আগ্রহ নিয়ে যাই-
ঠিক তেমনই নিষ্প্রভ হয়ে যাই
পাংশু বর্ণ ধারণ করে মুখটা।
এটাও কি ভালবাসা।

তোমার একটি ছবি, লাইক, কমেন্ট- পোষ্ট!
যেন পূজার প্রসাদ- খাই চেটে-পুটে!
তোমাকে চাই একটিভ ফেসবুকে!!
সারা দিন করো মোরে পোক;
আমাকে ভাল রাখো, তোমার ভাল হোক।

 ঝড়ের পাখি
২৭-১১-১৪
নাচোল, চাঁপাই নাবাবগঞ্জ।

সংসারী

তোমার সাথে রাত-ঘুম
ভালবাসি ভাত ঘুম;
কবিতা তোমায় দিলাম ছুটি-
বউয়ের সাথে বানাবো রুটি।
চাঁদ দেখে মুগ্ধ হওয়ার আগে
যায় চলে যায়- খুনসুটি অনুরাগে।
আর শুনি না মধুর কোন গান-
করছি শুধুই ঘ্যান-ঘ্যান!
বৃথায় কেন অশ্রু তোমার চোখে?
আর থাকি না উদাস-উদাস মুখে।
তোমার হাতে খুন্তি কড়াই- আমার হাতে ব্যাগ;
দু'জন মোরা দু'জনাতে করেছি সব ত্যাগ।
তোমার মুখের হাঁসির লাগি
দুঃখ আমার লুকিয়ে রাখি;
মিথ্যা আমি হাজার বলি
দিচ্ছি কত জোড়া- তালি।



ঝড়ের পাখি
২৭-১১-১৪
নাচোল, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।

না বলা ভালবাসা

নয়নে বেঁধেছি, কত যে সেধেছি,
পিছে মিছে ঘুরে মরেছি।
সময় যেতো থমকে- ভাললাগার দমকে!
রুপের মায়ায় চমকে।
দৃষ্টি যায় আটকে- আমি যাই লটকে!
জানানো হল না- যাই ভড়কে।
স্মৃতির ফিল্মে- আছো তুমি দিলমে
বেঁচে নেই- কিলড মে!
এখনো হাসো- পাশাপাশি বসো,
সেজে গুজে আসো।
পাশে কেউ অন্য, আমি শুধু শূন্য,
হয়ে গেছি পণ্য।
ভাল বাসা আছে, ভালবাসা আছে!
তুমি নেই কাছে।
মুগ্ধতা হারিয়ে- হাত দুটো ছড়িয়ে
আমি আছি দাঁড়িয়ে।


ঝড়ের পাখি
২৬/১১/১৪
নাচোল, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।

তা

তোমার চিবুকে চিবুকে চপলতা,
চোখের চাহনিতে চঞ্চলতা,
ঠোঁটের হাঁসিতে মায়াময়তা,
ইশারায় আছে মুগ্ধতা,
চুলের ছায়ায় নিবিড়তা,
শরীরের ভাঁজে মাদকতা।
প্রেমিকা নও! তবে বল কি তা?


ঝড়ের পাখি
২৬/১১/১৪
রাজশাহী

পুনর্জন্ম

প্রেমানলে পুড়ছি আমি
পুড়বো কত কাল না জানি?
হচ্ছে দেখো কানাকানি,
মনের ভেতর টানাটানি।
আমার চোখে তোমার স্মৃতি,
জ্বলছে দেখো ধিকি ধিকি-
কাল না ভেবেই আজকে আমি
ভাবছি রাজা! তুমিই রানী!
ক্যমনে কবো মনের কথা?
পাই না খুঁজে পথ-দিশা।
ভয় করি না- না পাই পাবো
প্রেম বিরহে মজনু হবো।
তবু আমি হবোই হবো-
প্রেমানলে অঙ্গার হবো,
পুড়বো তবু হবো না ছাই
লক্ষ্য আগুন জ্বালাতে চাই।
তোমার প্রেমে মরণ হবে
লাখো প্রেমিক জন্ম নেবে।
পুড়বে আবার প্রেমানলে-
তাদের প্রেমেও উঠবো জ্বলে।

ঝড়ের পাখি
২৪/১১/২০১৪
নৃবিজ্ঞান বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।

প্রফেশন


কথা বেঁচে খাই যে আমি
কথা আমার কাছে দামি
কথা বেঁচে পেট চলে যায়
যাচ্ছে এ দিন (কথা) কেনা- বেচায়।


ঝড়ের পাখি
২৩-১১-১৪

ভালবাসা

তোমার চোখের কাজল হবো,
ঠোঁটের লিপিস্টিক;
চোখে চোখে রাখবো- চুমোর মায়ায় বাঁধবো-
নাচবো দিক্বিদিক।

ঝড়ের পাখি
২১-১১-১৪

সুযোগ

কাক সুন্দর তার আকাশে!
তেমনি আমি আমার প্রেমে।
ভাবছো আমি কেমন ছেলে।
দেখাবো সব সুযোগ পেলে।

-ঝড়ের পাখি
২১-১১-১৪

দুষ্টমি

গোলাপের লালচে রঙে জাগে লালসা
বন্ধু তুমিই ভরসা;
চোখটা আমার খচখচিয়ে যাচ্ছে অনুক্ষণ
কেন করছো জ্বালাতন?
অজুহাতের মিথ্যে মায়ায় রেখেছো দূরে-
অনুনয়ের সুরে।
শাসন করো, মার-ধরো- মানছি না বারণ-
করবো নিরাভরণ।
মিষ্টি তুমি, দুষ্ট তুমি বলবে তুমি শেষে-
আমায় ভালবেসে।


ঝড়ের পাখি
২১-১১-১৪
ভাড়া কুটির, মানিকগঞ্জ।

কপাল

ভালো ভালো ভাষা মোর ভালবাসা পেল না।
ভালো ভালো কথা গুলো ভালকথা হল না;
ভালো ভালো চাওনি গুলো চোখাচোখি হল না।
ভাললাগা, ভালবাসা প্রেমের দেখা পেল না।
ভালে ভালো, ভালো ভাল আর বুঝি হল না।

ঝড়ের পাখি
২০/১১/১৪
ভাড়া কুটির, মানিকগঞ্জ।

খেলা

হৃদয়ের দাগ- সেটুকু আমারই থাক,
সম্পর্কের মসৃণতা- তোমাকেই মানায়-
আমিতো অচ্ছুত কোন ভাগাড়ের ভাগ,
রুচবে কি আর নিয়ন জ্বলা ঝুল বারান্দায়।
ভালবাসা এক দুর্লভ পরশ পাথর,
পেলে লোভী; না পেলে কবি।
আমি তুমি এক যন্তর- মন্তর,
কাব্য যেখানে এক অভিলাষী কবি।
ভাললাগা থেকে যদি ভালবাসা হয়
চোখে চোখ, হাতে হাত মানে প্রেম।
দুটি কথা, ক'টি গান- আদিখ্যেতা হয়-
হাসি-কান্না, আবোল-তাবোল; হয় কি কখনো শেম।
তুমি আজ ঘরনি- আমি নই রাজা
প্রতিশোধ নয়- পেলে প্রকৃতির সাজা।
আমার চোখে অগ্নি আজ- তোমার চোখে জ্বালা;
পাশা খেলায় জয়ী আমি- উল্টালো পাশার পালা।


-ঝড়ের পাখি
১৯-১১-১৪
ভাড়া কুটির, মানিকগঞ্জ।

পাগলামি


পাগল হয়ে যাবো আমি
করবো সদা পাগলামি
তোমার প্রেমে মরমিয়া
জ্বালাবো দিয়া।

ঝড়ের পাখি
১৮-১১-১৪

প্যানপ্যানানি

বার বার জ্বালাতন
স্মৃতি গুলো অনুক্ষণ
করে মন উচাটন
হয় না তা বণ্টন।
থাকে শুধু আমারি
ক্যামনে যে কি করি
ভাবনায় যাই মরি
অনলও দহনে পুড়ি।
পাবো না তোমাকে জানি
তবু কেন টানাটানি;
কি এমন পরশমনি?
পরশেই প্রানহানি।

ঝড়ের পাখি
১৭-১১-১৪
ভাড়া কুটির, মানিকগঞ্জ।

উপমা


তুমি আমার মাটির হাড়ি; দুধে ভাসা সর,
একাদশী, মানত-রোজা, তপস্যায় মাঙা বর।
কিংবা তুমি কলা পাতায় শিরনি- প্রসাদ
ভক্তি নিয়ে চাটা; তৃপ্তিতে- বিস্বাদ।


ঝড়ের পাখি
৩০-১১-১২

পার্থক্য

তোমার ও চোখ কাজলে কালো
আমারটা এমনিতেই কালো,
তুমি সফেদ মাজা-ঘষা পাউডারে;
আমি কালো ভালবাসা আর আদরে।
তোমার যা কিছু শখ আরা সম্মান-
আমার সে টুকু জিবিকা অন্বেষণ;
তবুও দিন শেষে আমি মানুষ
মানবীয় সব শুন্য তোমার- উড়াও ফানুস।
তোমার শেখানো সে পথ ধরে
তোমাকে যাই শিখিয়ে;
নিঃস্ব তুমি হবে একদিন
সব কিছু বিকিয়ে।


ঝড়ের পাখি
৩০-১১-১৪
অক্ট্রয় মোড়, রাজশাহী।

আড়ি

তোমার সাথে ইচ্ছে মতোন হবে আমার আড়ি;
তোমার সাথে রাগ, অনুরাগ- প্রেমের বাড়াবাড়ি।

ঝড়ের পাখি
০৪-১২-১৪

বলছি তোকে-১

তোকে দিলাম এক চিলতে মেঘ,
একটুখানি ছায়া-
তীব্র রোদে নীচে দাঁড়াস;
পাবি ভালবাসা- আদর-মায়া।
কিসের এত চিন্তা রে তোর-
বাক্স বন্দী ক্যান?
মোবাইল, টিভি ছুঁড়ে ফেলে
ভাঙ ঘরে থাকার ধ্যান।
আকাশ ধরে বাতাশ খা,
মিষ্টি ভীষণ বৃষ্টির পানি।
ঘাস ফড়িং দের প্রজা বানা-
হ প্রকৃতির রাজা; পরীরা রানি।

-ঝড়ের পাখি
১৭-১২-১৪

শৈশব

আজ কালকার বাচ্চাগুলো সকাল দেখে না;
ভোরের মিষ্টি রোদ গায়ে মাখে না।
কিচির মিচির পাখির ডাক কভু শোনে না-
ভোরের শিশির হাতে নিয়ে চেখে দেখে না।
আগুন জ্বলা ঝিঁঝিঁ পোকার পিছে ছোটে না।
চাঁদের বুড়ির গল্পে তাদের খায়েশ মেটে না।
ঘুমায় তারা গভীর রাতে- সময় কাটে টিভি দেখে;
খাওয়া কিংবা কান্না- হাঁসি কার্টুন গান চোখে।

ঝড়ের পাখি
১৭-১২-১৪

উষ্ণতা

আমার চোখের জলে সখী তোমার উষ্ণ স্নান,
বাথট্যাবের গরম জলে চুইবে গাঁয়ের ঘ্রাণ।
আমি শুধু রইবো বসে সেলফি দেখার আশে
শীতের মাঝে সেটাই আমার উষ্ণতা হয়ে আসে।

ঝড়ের পাখি
২১-১২-১৪

চাই

তোর রংধনু রাঙা জামা চাই,
চাঁদ সুরুজ মামা চাই,
রোজ রোজ হামি চাই।
সবকিছু দামী চাই।
আমি শধু তোকে চাই
শুন্য এ বুকে চাই
বুক ভরা সুখে চাই
জলে ভেজা দুখে চাই
পাশে চাই, হাতে চাই
কাছকাছি থাকা চাই।
তোকে চাই, তোকে চাই,
তোর ঐ হাঁসি চাই
দুষ্টমি কাশি চাই
আঁকা ঐ চোখ চাই
রঙে রাঙা ঠোঁট চাই
চিবুকে চিবুক চাই
গলাগলি হতে চাই
বলাবলি হতে চাই।
আমি শুধু তোকে চাই
তোর সব কিছু চাই।

ঝড়ের পাখি
২৯-১২-১৪

অনুরোধ

তোমাকে ভালবেসে ভুল করিনি!
নেই না পাওয়ার আক্ষেপ-
শুধু সানিধ্যের হাতছানিতে
পঙ্গপালের ন্যায় ঘুরে মরি
আজো তোমার চারিপাশে
একটুখানি রুপ, গন্ধ আর ছুঁয়ে যাওয়া বাতাসে।

ভালবাসতে চাই আজো সেই সেদিনের
না পাওয়ার মতো।
তুমি আগেও ছিলে ধরা ছোঁয়ার বাইরে
আজো তার ব্যাত্যয় ঘটেনি...
তুমি তোমার মতোই থেকো...
শুধু আমার ভালবাসায় ভালবাসতে এসো না!!!
-ঝড়ের পাখি
২৮-১২-১৪

মেকিং

নোংরা যখন ভাল জিনিস;
মিছে কেন মুক্তা খুঁজিস?
গায়ে নোংরা মেখে নে।
মেকি যখন সব কিছুই-
আসলি খুঁজে পাবি না তুই।
মেকিং করে নে।


তেল যখন মারছে সবাই
চাপা ই যখন সাফল্য ভাই-
জলদি শিখে নে।
ইমোশনাল, ঘাড় ব্যাকা,
নন প্রোফেশনাল- খাবি বকা।
মনে না নিস- তবু মেনে নে।

ঝড়ের পাখি
১৪/১১/১৪
ভাড়া কুটির, মানিকগঞ্জ।

কোপিং

ঘুরছি আমি, ঘুরছো তুমি, ঘুরছে সাথে লাটিমটাও;
ঘুরছে মাউস হচ্ছে লোডিং ঘুরছে সাথে জীবনটাও।
আজকে আমি ভাল অতি- কালকে খারাপ তোমার কাছে-
বলছি আমি বদলাই নি; বদলাও নি তুমিও- তবু সম্পর্কটা তো ঘুরছে।
ঘুরছে ঘুরুক- কার তাতে কি? তার তো বগল বাজছে-
দূরে দেখে দাও তালি দাও- সম্পর্ক তবু ঘুরছে,
ঘুরতে ঘুরতে ১৮০º তে ঠিক সে পৌঁছাবে;
৩৬০º পৌঁছালে তা মোহনাতে মিলবে।
ঘুরছে ঘুরুক ঘুরছে যা যা, হচ্ছে হউক হচ্ছে যা তা;
(বাহার) তোর তাতে কি; হচ্ছে কেন মাথা ব্যাথা?
পারবি না তুই ঘোরা থামা, পারবি না তুই একলা একা।
তার চেয়ে তুই তেল কিনে- দে গোঁফে তা,
নাক ডুবিয়ে চোখ বুজিয়ে- বেসুরো গান গা।

ঝড়ের পাখি
১৪/১১/১৪
ভাড়া কুটির, মানিকগঞ্জ।

স্বপনে

তোমার চোখে আমার এ চোখ রাখতে আমি চাই,
তোমার চোখে আমার স্বপন দেখতে মনে চায়।
তোমার স্বপ্নে একলা আমি হবো কুশীলব,
ভাল নই- আমার আছে দুষ্ট মতলব।
দুষ্ট মিষ্টি কথার খাজে
মাখবে আদর চুলের ভাঁজে।
লজ্জা কিসের ভালবাসায়?
মাতাল হবো প্রেমের নেশায়।
তুমি মিছে ভাবছো সখি-
আমরা ঠিকই হবো সুখি।
শঙ্কা ও ভয় দেখছি কেন তোমার নয়নে?
বাস্তবে নয়; এসব কিছু হবে স্বপনে।

ঝড়ের পাখি
১৪/১১/১৪
ভাড়া কুটির, মানিকগঞ্জ।

সফল মানুষ

হাটের মানুষ, মাঠের মানুষ,
গাঁয়ের মানুষ যারা-
তারাই মোদের সোনার মানুষ,
সফল মানুষ তারা।
ধন্য তারা, গণ্য তারা,
তারাই দেশের প্রাণ।
তাদের লাগি বিশ্ববুকে
বাড়ল দেশের মান।
কঠিন মাটি চাষ করে যারা
ফলায় সোনার ধান,
তাদের জন্য আছি বেঁচে
গাইবো তাদের গান।

ঝড়ের পাখি
১২-০৩-০১

আক্ষেপ

একটা বই পড়তে চাই
নিটোল প্রেমের গল্প
দুঃখ ভরা অশ্রু তে ভেজা
রোমান্সে মচমচা।
ক্লাইম্যাক্সের ছড়াছড়ি
হাসতে হাসতে গড়াগড়ি
খুনসুটিতে থাকবে ভরা
সম্পর্কের ভাঙ্গা-গড়া।
একটা বই পড়তে চাই
বই পড়ার সময় চাই...
বই গুলো সব গিলতে চাই
চায়ের সাথে খেতে চাই
কোল বালিশ বানিয়ে ঘুমাতে চাই।
হচ্ছে না পড়া কাগুজে বই
মেতে আছি নিয়ে মুখবই।
তবুও মিটছে না সাধ- তৃষ্ণা,
আমায় একটু পড়তে ধার দিস না।।

ঝড়ের পাখি
০৮/১১/১৪
ভাড়া কুটির, মানিকগঞ্জ।

শুভেচ্ছা



উত্তাপ সে তো কবেই হারিয়ে গেছে-
রিমঝিম বরষাও গিয়েছে শুকিয়ে;
সাদা কাশফুল আর নীলাকাশ
মিইয়ে আছে কুয়াশার চাঁদর মুড়িয়ে।

নবান্ন আর পিঠা-পুলির ভিড়ে
স্মৃতি যেন মোর হয়না ধোঁয়াশা।
উষ্ণতা আর মনোহরণের ব্যস্ততায়
ব্যাঘাত ঘটাতে- জানাই শুভেচ্ছা।

ঝড়ের পাখি
০৮/১১/১৪
ভাড়া কুটির, মানিকগঞ্জ।

শিরোনামহীন

তোমার জন্য আছি বেঁচে
নাইলে কবেই হারিয়ে যেতাম।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা হয়েই
আকাশ-বাতাসে মিলিয়ে যেতাম।।

অলসতা




অলস আমি ভীষণ অলশ
খাই না পানি নাড়িয়ে কলস!
কুনো আমি গোঁফ-খেজুরে-
কাটে দিন পি পু আর ফি শো করে।


আমারে দিয়ে হবে না কিছুই-
পড়া ছেড়েছি অনেক আগেই-
বাকি আছে লেখালেখি-
হবে না বুঝি দেখা দেখি।


তুমি বল লিখতে গদ্য-
আমি শুধু করে যাই কাব্য।
তুমি কেন এখনো রেখেছো আশা।
আমি তো হারিয়েছি ভাষা।।


ঝড়ের পাখি
০৮/১১/১৪
ভাড়া কুটির, মানিকগঞ্জ।