Search This Blog

বদলে গেছো

হঠাৎ করে কেন জানি মনে হচ্ছে......
তুমি আর আমাকে আগের মত ভালবাসো না!

তুমি হটাৎ করে এমন কৃপণ হয়ে গেলে কেন?
ভালবাসার মাঝে এত দাড়ি, কমা, পূর্ণচ্ছেদ কেন?
কেন তুমি এত হিসেবি হলে?

আমাকে ভালবাসতে শিখিয়ে-
তুমি আজ নিশ্চুপ কেন?

এখন আর গভীর রাতে ফোনটা বাজে না;
শুনিনা তোমার কণ্ঠস্বর; কিংবা আবেগী অভিমান।
তুমি আর আগের মত চপলিনী নেই-
ধীর, শান্ত এক গভীর পুস্কনি।

তুমি কেমন জানি নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছ-
লাজ্জাবতীর বিষণ্ণ লাতার মতো।


চুপ! কথা বল না।
আমি তোমাকে ভালবাসবো, ভালবাসতে ইচ্ছা হচ্ছে।

আমাকে তো আর আদর করো না!
না কি ভালবাস না?
          -ঝড়ের পাখি

          BH-OG-OG

বর্ষার ক্ষণে

গুড়-গুড় মেঘ ডাকছে,
দ্রিম দ্রিম বাজ;
ছোট্ট খোকা দেখে বলে
মেঘের মাথায় তাজ।


ঝর-ঝর ঝর অঝর ধারে
ঝরছে শুধুই বারি,
আমি কেবল ভেবেই মরি-
দুঃখ কিবা তারি।
         
          যেমন খুশি খেলছে সে
          মেঘের সাথে আমার কেবল
          উড়তে ইচ্ছা করে।
          তোমার পরে রাগ হচ্ছে
          কাঁদছ কেন ভায়,
          তোমার কাঁদন দেখে আমার
          কান্না ভারি পায়।

                            
                             মা বলছে আদর করে
ওরে দুষ্ট সোনা!
বাইরে আজি ঝরছে বারি,
খেলতে যাওয়া মানা।
আমি শুধুই ভাবছি বসে,
খেলার সাথী আছে বসে,
বাড়ী থেকে ঐ যে হোথা-
গাছটি মাঠের পাশে।

          আমার কথা ভাবছে সে
          বসে গাছের তলে,
          ঠিকই সে ভিজছে এখন
          আকাশের জলে।
          অভিমান করে শেষে
          চলে যাবে বাড়ি।
          তাই কেবল তোমার পরে
রাগ হচ্ছে ভারি।
আজকে কেন হঠাৎ করে
কাঁদছ মিছে বসে?
খেলা ধুলা ছেড়ে থাকতে হবে
ঘরের কোনে বসে।
         
খোকার ছোট্ট মনের মতো
          আমার মনটা কেমন করে
মেঘের কাঁদার সাথে সাথে
কাঁদতে ইচ্ছে করে।
         
          কেউ কাঁদে প্রিয়ার লাগি,
          কেউবা পেটের টানে।
          কাল যে তাদের উপোস যাবে
          জানে সে তা জানে।
          কাজ হয়নি আজকে তার
          চালও নেই ঘরে
          এমন করে অনেকে তাই
          কেঁদে কেঁদে মরে।
                             -ঝড়ের পাখি
                             ০৭-০৯-০৩

LOVE LETTER

ভাল লাগে তোমাকে
     তোমার চোখের মৃদু পলক
             ঠোঁটের ভীরু কাঁপন।
ভাল লাগে
       বৃষ্টিতে ভেজা
              চোখের পাপড়ি।

ভাল লাগে
        নাকের উপর
              বিন্দু বিন্দু ঘাম।

ভাল লাগে গোলাপী চিক
        ভালো লাগে কালো চুল;
                    চুলের গন্ধ-

ভাল লাগে
        কপালে দাপাদাপি
                  করা উড়ো চুল।

ভাল লাগে
      তোমার ছোঁয়া
                 স্পর্শ মৃদু মন্দ।

ভাল লাগে তোমার সানিধ্য;
          তোমার পাশে বসে
                  দুষ্টামি করতে।

তাই তোমাকে ভাল বাসি
            ভাল লাগে
                   তোমাকেই ভাল বাসতে।

                                         - ঝড়ের পাখি
                                           AC-OI-OF

প্রেম মাতাল

তোমার ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াবো
তোমার গালে গাল;
তোমার লালে লাল হবো যে,
আমি প্রেম মাতাল।।

তোমার চলায় পা মেলাবো,
রাখবো হাতে হাত-
তোমার চোখেতে চোখ রেখে
কাটিয়ে দেবো রাত।।
রাগবে তুমি অভিমানে-
করলে খুনসুটি;
স্বেচ্ছা করা বোকামিতে
হাসবে লুটোপুটি।।

-ঝড়ের পাখি
২২/০৮/১৩

সুন্দর তুমি

সুন্দর তুমি,সুন্দরতম,
সুন্দর থেকে সুন্দরময়,
জানি না এমন কেন বারে বারে
দেখতে তোমাকে চায়?
লুকিয়ে তাই চুপি চুপি-
তোমাকে দেখে যাই।
দরকার কি হিসাব কষার-
তোমাকে পাই বা না পাই?

চাঁদটকে দেখি ভাল লাগে তাই;
হয়তোবা ভালবাসি।
তাই বলে কি তাকে পাওয়ার
আকাঙ্খা মনে রাখি।
ভালবাসিও ফুলটাকে
গন্ধ-বর্ণ-রুপ সবই।
একাকীত্বে নির্জনতায়
তোমাকে হয় তো ভাব-ই?


হাসতে বুঝি পারে না সবাই;
দেখে তোমার হাসি-
সেই হাসি দেখেএই হৃদয়ে
বাজে বুঝি বাঁশি?
আকাশের ঐ লক্ষ তারা
তোমার চক্ষু তারায় দেয় ধরা,
বাঁচতে বুঝি কষ্ট হবে
এই জীবনে তোমায় ছাড়া?


                              -ঝড়ের পাখি                               ১৩-০৪-০৬


২০০৬ সালের ৮ ই মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় বারের মত ভর্তি হলাম। চোখে, মনে, হৃদয়ে প্রেম থই থই করছে। ছোট্ট জীবনে ২য় বারের মত একটি মেয়েকে দেখে মুগ্ধ হলাম। অপলক নয়নে চেয়ে থাকতাম। পরে জানলাম তিনি আমার ১ ব্যাচ সিনিয়ার। ও বলতে ভুলে গেছি তিনি আমার বিভাগেই পড়তেন। দ্বিধায় পড়লাম; তবে হতাশ হই নি। বুকে আশা ছিল হতেও পারে। তাকে দেখতাম আর কবিতা লিখতাম। তাকে নিয়ে লেখা শেষ কবিতা এটি।


কোন কথা হতো না, শুধু লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম। চোখে চোখ পড়লে চোখ সরিয়ে নিতাম। কিন্তু তিনি বুঝতে পারতেন বলে আমার মনে হত। এবং ১ জন জুনিয়ার এর স্পর্ধা দেখে কিছুটা দ্বিধায় তিনিও ভুগতেন। যাই হোক বেশিদিন এই অভিযান চলে নি এক মাসের মাথায় জানলাম তিনি তারই ১ ব্যাচ ম্যাটের সাথে চুটিয়ে ......। সত্যি অনেক কষ্ট পায়নি। কেন জানি মনটা বড় হয়ে গেল। সকল দাবি দাওয়া ভুলে গিয়ে ...... যাও তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম...


তারপর দীর্ঘ ৫ বছর একই বিভাগে একসাথে পড়াশুনা করেছি। এমনকি একই ক্যাম্পাসে একই প্রেম কাননে অন্য একটি মেয়ের সাথে আমিও...... উনিও হয়তো সময় এবং বাস্তবতায় আমাকে আর আম্লে আনেন নি।কোনদিন তেমন কিছু মনে হয় নি। তবে যখনই তাকে দেখতাম মনে হত তাকে জানাই আমার সেই স্বল্প দিনের ভাল লাগার কথা। কবিতা গুলো তাকে দিয়ে বলি ...  "মনে পরে রুবি রায়, কবিতায় তোমাকে   একদিন কত করে দেকেছি...?'


না বলা হয় নি। কাপুরুশ কি না? কবিরা নাকি কাপুরুশ হয়। তাদের সকল পুরুষত্ব নাকি লেখনিতে?


এখন তিনি সংসার করছেন...দোয়া করি তিনি সুখে থাকুন, খুশি থাকুন।কবির এটুকুই কামনা।সুধু খেদ তাকে কবিতা গুলো দেয়া হল না।-বাহার