Search This Blog

ইউথোনেশিয়া



আমি মরে যেতে চাই কোন এক বিষণ্ণ বিকেলে,
আমি মরে যেতে চাই এক্ষুনি- এই আকালে।
মরে যেতে চাই কোন এক নির্জন দুপুরে
ছায়া ঘেরা, গভীর অতল শান বাঁধানো পুকুরে।
মরে যেতে চাই – কেউ জানবে না-
অন্ত্যুস্টিক্রিয়াহীন- কেউ কাঁদবে না।
কোন বিরাম চিহ্ন নয়- নয় কোন উত্তরাধিকার-
নেবো না কিছুই- থাকবে না জমা-খরচ – হবে না পারাপার।
সকল বোঝা, সকল দায়ভার নামিয়ে দেবো তৎখনাৎ-

মরে যেতে চাই হাসতে- খেলতে-চলতে হটাৎ। 

বিক্ষিপ্ত মন

মাথাটা ভোঁ ভোঁ করছে। তারচেয়ে বেশি বিক্ষিপ্ত মনটা- অস্থিরও বলা যায়। কোন কিছুতে মন বসছে না। কোন কিছুতেই না। হারিয়ে যাচ্ছি, কিংবা তলিয়ে যাচ্ছি। সবকিছুর চাপে। হাঁসফাঁস করছে-

আমি আমাকেই চিনতে পারছি না।
খুঁজে ফিরি নিজেকে এক নিজের সাজানো জনারণ্যে।
পাশে সবাই আছে, কিন্তু মনে হচ্ছে আমি একা-  একলা বনবাসে।
সীতাও নেই, নেই লক্ষ্মণ কিংবা গরুড় পাখি-
হনুমান তো কবেই নিজেই রাম বনে গেছে ভক্তির আদিখ্যেতায়।
চারপাশে সবাইকে রাম মনে হয়- আর আমি রাবণ।



খারাপ সম্পর্ক ভাল সম্পর্ক

প্রশ্নঃ একজন মানুষের সাথে আর একজন মানুষের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক কেন একটি ছোট কথা বা ঘটনার মাধ্যমে নষ্ট হয়?

উত্তরঃ প্রত্যেকটি সম্পর্কের সাথে সাথে সমান্তরাল এবং উলম্বিক ভাবে দুটি বিষয় যুক্ত থাকে। যথাঃ      ক) ভাল ঘটনা/কথা
     খ) খারাপ ঘটনা/কথা।
সম্পর্কের ধরণ এই দুটি বিষয়কে দুই ভাগে চিহ্নিত করে।একটিকে প্রচ্ছন্ন এবং বিপরীত টিকে প্রকট। ভাল সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভাল ঘটনা/কথাকে প্রকট হিসেবে চিহ্নিত করে এবং বিপরীতে খারাপ ঘটনা/ কথাকে প্রচ্ছন্ন হিসেবে চিহ্নিত করে।
খারাপ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা ঘটে থাকে।


কিন্তু দুটি ঘটনার গুরুত্ব কিংবা প্রভাব হয়তো একই। কিন্তু প্রচ্ছন্ন ঘটনা গুলো জমতে থাকে এবং প্রকট গুলো প্রকাশ পেতে থাকে- হারাতে থাকে (প্রকাশ পেতে পেতে সেটি বিলীন হয়ে যেতে পারে। মানে আমাদের কাছে সেগুলো স্বাভাবিক হিসেবে উপস্থাপন হয়।)

এইভাবে চলতে চলতে  একটি কথা বা ঘটনা হাজারো পুঞ্জিভূত খারাপ ঘটনা/ কথা বিগ ব্যাং এর মতো বিস্ফোরিত করে দেয়। ফলশ্রুতিতে দীর্ঘদিনের ভাল সম্পর্কের ইতি ঘটে একটি খুবই আপাত সাধারণ ঘটনা বা কথার মাধ্যমে।

আবার সব ঘটনা/কথা কিন্তু এই বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম হয় না। কিংবা কখন এই প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যগুলো বিস্ফোরিত হবে সেটি নির্ধারণ করে দেয় পরিবেশ এবং পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ঘটনা সমূহ।

অপরদিকে একটি ঘটনা বা কথা বিস্ফোরিত হবে কিনা সেটি নির্ধারিত হয় ঐ নির্দিষ্ট ঘটনা বা কথাকে ঐ দুজন মানুষ কে কি ভাবে গুরুত্ব দিল তার উপর।

বিস্ফোরিত সম্পর্ক খারাপ হবে কি না কিংবা আবার ভাল সম্পর্কে ফিরে আসবে কীনা সেটি নির্ভর করে কোন একজন বা উভয়ই ঐ একটি কথা কিংবা ঘটনাকে কিভাবে জিইয়ে রাখছে-তার উপর।
যদি একজনও ঐ আপাত তুচ্ছ ঘটনা বা কথাকে তেল দিয়ে চকচকে করতে থাকে তাহলে আর ফিরে আসবে না- নতুন সম্পর্কে মোড় নিবে?

-ঝড়ের পাখি   

জানুয়ারি, ২০১৫

তোমার চোখে আমি





















ভেবে দেখ আমার ছাড়া তুমি ভীষণ অচল!
না পাও ভালবাসা, না পাও বল।
কে তোমাকে জ্বালাবে বল? চুল ধরে টান,
হটাৎ করে চেঁচিয়ে উঠে চমকে দেবে প্রাণ।
আমি তোমার টিউব লাইট, ভোলা, বোকা, হাদারাম;
ভাইবা দেখো করে দেই তোমার হাজারো কাম।

ঝড়ের পাখি
০৩-০১-১৪

আপেক্ষিক

বন্ধু হয়তো আমার কষ্ট তোমার কাছে তেমন বড় কষ্ট নয়;
কিংবা ধরো কষ্ট গুলো তোমার কাছে স্পষ্ট নয়।
কিংবা আমি সেল করি না, দেই না তেল নিত্য।
কষ্ট আমি লুকিয়ে রাখি, আমি কষ্টের ভৃত্য।
তাইতো তোমার কষ্ট গুলো সবার কাছে দৃশ্যমান।
আমার গুলো ধুলা পড়া, চুপসে যাওয়া- মৃয়মান।
তোমার যেমন কষ্ট আছে, আমার কষ্টও কম নয়,
কষ্টে আমি ক্লান্ত ভীষণ, কষ্ট বুকে বহমান।

সম্পর্ক-কানা

আমি সত্যি বড়ই ক্লান্ত। ঘর- বাহির সামলাইতে সামলাইতে। ভাল হওয়ার এক ব্যর্থ চেষ্টায় প্রতিদিন হয়ে যাচ্ছি খারাপ। কারো না কারো কাছে।
ভাল ছেলে, ভাল ছাত্র, ভাল মানুষ, ভাল বন্ধু, ভাল কর্মী, ভাল সন্তান, ভাল স্বামী হতে গিয়ে আমি আজ বড়ই ক্লান্ত।

খুব খারাপ হতে মন চায়। একদম পুরো দস্তুর এক খারাপ ছেলে। এত খারাপ যেন কেউ আমার কাছ থেকে ভাল কিছু আশা না করে।

বন্ধুরা অভিমান করে তাদের কেন খোঁজ নেই না। বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন তাদের একই অনুযোগ, শুভাকাঙ্ক্ষী তো দিন দিন কমতির পথে। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরাও পর্যন্ত এই অভিযোগ করতে থাকে।
কাজের সূত্রে প্রতিদিন ২/১ জনের সাথে পরিচয় ঘটে। তাদের আথিতেয়তা আর ভালবাসায় প্রতিদিন ঋণী হচ্ছি- দিনকে দিনকে।তাদেরও ঠিক মতো খোঁজ নেয়া হয়ে ওঠে না।

আমি আসলে পেরে উঠিনা। আমার হয়তো ধ্যাতে নেই।আমি বেশ সম্পর্ক কানা। আমি কোন সম্পর্ক ধরে রাখতে পারি না বা মেইনটেইন করতে পারি না।
কিংবা আমি মানুষের ভালবাসার মুল্য দিতে পারি না। কত মানুষ ভালবাসার ঋণে আবদ্ধ করে রেখেছে।কিন্তু তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়ে ওঠে না। এই মুহূর্তে মনে পড়ছে তিন জন বন্ধুর মায়ের কথা- রাজু, জীবন আর সাগরের। তাদের তিন জনের সাথে আমার সম্পর্ক অল্প সময়ের। কিন্তু সেই অল্প সময়ের মধ্যেই এই তিনজন অনেক আপন করে নিয়েছেন। কিন্তু আমি এক হতভাগা পালিয়ে বেড়াই তাদের ভালবাসার বাঁধন থেকে। অসম্ভব এক চুম্বকীয় শক্তি আকর্ষণ করি তাদের প্রতি। আবার ছুটে চলে আসি দূরে। কেন- তার উত্তর নেই। তবে সত্যি বলছি- আমিও আপনাদের খুব ভালবাসি এবং মিস করি। কিন্তু আপনাদের ভালবাসায় বিলীন হয়ে জাওয়ার ভয়ে হয়তো পালিয়ে বেড়াই নিজের থেকে আরো যোজন-যোজন দূরে।

অনেকটা কাঁকতলিয় ভাবে পরিচিত হয়েছিলাম একজন অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার সাথে। তিনিও আমাকে বেশ ভালবাসলেন। আমি তাকে আমার এই 'সম্পর্ক-কানা' র কথা খোলাখুলি বললাম। তিনি আমাকে ভুল বুঝলেন। সকল ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলেন। আমি হয়তো তাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছিলাম।

আমার সাথে খুব ভাল যোগাযোগ নেই আমার কর্মজীবনের শেষ তিন জন সুপারভাইজারের সাথে। হয়তো আমার দিক থেকে কোন ত্রুটি ছিল।তবে এতটুকু বলতে পারি- যখন একসাথে কাজ করতাম তখন কারোর সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটেনি।

আমি এক চরম 'সম্পর্ক-কানা'।
-ঝড়ের পাখি
৩-১৩-১৬

স্রোতের বিপরীতে

মাঝে মাঝে ভাবি স্রোতের বিপরীতে হেঁটে কি লাভ? কিংবা হাঁটা আদোও উচিত কি? সবাই যখন ছুটছে স্রোতের অনুকুলে। বৃথায় সময় এবং শ্রম ক্ষয় করছি।
কিংবা যে পাত্রে ভালবাসা কিংবা কোন কিছু দেবো সেই পাত্রেরও তো ধারণ ক্ষমতা থাকতে হবে। না হলে সে গুলো উপচে পড়ে যাবে। ধরা যাক, প্রতিদিন আমরা কাপের আধ কাপ চা খেতে খেতে অভ্যস্থ; হটাত করে যদি পুরো কাপ ভরে দেয়া হয়- তাহলে সত্যি বিচ্ছিরি বিদিখিচ্ছিরি লাগে।
তাই ভাবছি- সিধান্ত নিয়েছি- কৃপণ হয়ে যাবো। স্রোতের অনুকূলে হাঁটবো। নিজের সবটুকু দেবো না। পারলেও না; থাকলেও না।
তখন দেখো কেমন লাগে? কেমন লাগে? .........

ছোট বেলায় যা শিখেছি জীবন থেকে যা শিখছি

জীবনে বড় হওয়ার সময় কিছু বিষয়ে মগজ ধোলাই হয়েছিল- যেগুলো জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে মিশে আছে। কিন্তু বড় হতে হতে জীবন দিয়ে বুঝতে শিখেছি সেই ধোলাই কৃত জিনিস এই জীবনে বেশ অচল। তার বিপরীতে নতুন করে শিখছি--
ছোট বেলায় যা শিখেছি জীবন থেকে যা শিখছি
................................. ....................................
সদা সত্য কথা বলিয়ো ঃ সবখানে সত্য কথা বলতে নেই
অন্যায়ের কাছে মাথা নত করো না ঃ সবখানে মাথা তুলতে নেই
মানুষ মাত্রই ভুল করে ঃ কর্তা দের কোন ভুল হয় না
বক্স এর বাইরে ভাবতে শেখো ঃ বক্স এর ভিতরেই থাকো
ভুল প্রশ্ন হলেও প্রশ্ন করো ঃ সবার কাছে প্রশ্ন করতে নেই
যুক্তি দিয়ে ভাবতে শেখো ঃ ভেবো না- করে যাও
জ্ঞান অন্বেষণ করো ঃ সব কিছু জানতে চেয়ো না

মাথার মরণ

বন্ধু তোমায় কথা দিলাম রাগবো না আর কভু;
চারিপাশে হাজার হাজার অসংগতি তবু।
প্রশ্ন করে বৃথা তোমার নাড়াবো গদি
মাথার ভিতর, মনের ভিতর প্রশ্ন থাকেও যদি।
আজ থেকে আর দশ জন হবো- দশের এক নয়;
আমায় নিয়ে মিছে চিন্তা; আর পেয়ো না ভয়।
মরবো ধীরে ধীরে- স্বেচ্ছা মরণ জানবে না কেহ,
ধরণী পরে চলবে ফিরবে আত্মা বিহীন দেহ।
ঝড়ের পাখি
২৮-০১-১৫

ভালবাসা অমলিন

উড়ো চুমোয়, সাদা ধুলোয় 
সাজাবো তোকে- ঠোঁটের তুলোয়।
চোখের পাপড়ি, মনের টুকরি।
ভালবাসবো অবদি থুত্থূরি।

অভিনয়

অভিনয় জীবনে জবানে...
সেলুলয়েড, ভার্চুয়াল, রিয়েলে...
নিত্য সেথা হচ্ছে বদল
চরিত্র আর ডায়ালগ-
মিছে কেন দর্শক একা?
একলা একা বসে থাকা।
নামবো আমি নাম ভূমিকায়
করবো সেথা নিত্য অভিনয়
আমিই সেথা খল কিংবা জোকার
ক্ষতি কি আমার নেইকো আকার।

মিথ্যে ভালবাসা

বন্ধু আমার এক চোখে জল অন্য চোখে হাসি,
মিথ্যে করে হলেও বন্ধু তোমায়- সত্যি ভালবাসি।

ছুটির দিন

জানো,
কাল শনিবার ছিল- ছুটির দিন।
ছুটির দিনে আমি বেশ অলস হয়ে যাই-
সারাদিন সারাক্ষণ তোমাকেই পাশে চাই।
কিন্তু,
ছুটির দিন গুলোতে শুরু হয় তোমার কর্মযজ্ঞ;
আমিও নেমে পড়ি তোমার সাথে হাত মেলাতে-
তোমার কর্মযজ্ঞ তাড়াতাড়ি শেষ হলে যেন তোমায় পাই।
শেষ হতে হতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল-
হয় না আমার আর অলস হওয়া-
হয় না আর তোমাকে পাওয়া-
হয়তো বা,
আগামী শনিবারে সেই একই ইচ্ছা।
তবু আমি থাকবো না- সম্ভাব্য ব্যস্ততায়;
দিন শেষে রাত আসে-
বিছানায় শুয়ে পাশে
ছোঁয়া আর গন্ধে
মন ভরে না, ভরে না।
চাই শনিবার ছুটির দিন
অলস আমি- তোমাকেই পাশে।
ঝড়ের পাখি
১১-০১-২০১৫

ভালবাসতে চাই

অল্প আলোয়
আলতো করে
অল্প করে মাখবো
হাত ইশারায়
চোখের ভাষায়
মিষ্টি করে মাখবো
রাতের মাঝে
দিনের কাজে
তোমাকে পাশে চাই
ভাল বাসি
ভালবেসে
ভালবাসতে চাই

ভালবাসা দিবসে

আজ বিশ্ব ভালবাসা দিবস!
কিন্তু, ভালবাসার মোর নেই অবকাশ।
আমারও তো ইচ্ছে হয়
একটা আধফোটা গোলাপ নিয়ে 
কোন মর্ত্যের অপ্সরীকে বলি-
থেকো আমার জন্ম- জন্মান্তরের.........
কিন্তু, এই বলারও নেই মোর অধিকার।
কি আজন্ম পাপ, ফাটা কপাল নিয়ে জন্মেছি।
আজ যে দিকেই দেখি সেদিকেই শুধু প্রেম-
প্রকৃতিতে প্রেম, পশু-পাখিতে, তরু- লতাতে প্রেম;
চারিদিকে প্রেমের সিন্ধু, কামনার ফোয়ারা-
রুক্ষ- শুষ্ক পৃথিবীতে স্বর্গের মোহনীয়তা।
কারণ, এসেছে বসন্ত, অনন্ত অসীম অপার
সৌন্দর্যের প্রদর্শনী।
কিন্তু, আমার হৃদয়পটে আজ সাহারার বালুভূমি-
নেই কোন কমনীয়তা, মাধুর্যময়ীতা, স্নিগ্ধতা,
শুধু রুক্ষতা, শুষ্কতা, ধ্বংসের উন্মাদনা।
কিন্তু, কেউ কি জানে এই ধূ-ধূ বালুর প্রান্তরে
কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয় -মরূদ্যান,
পাথরের কঠিন বক্ষ বিদীর্ণ হয়ে নির্গত হয়
শীতল ঝর্ণাধারা। আগ্নেয়গিরির প্রবল বেগে
উত্থিপ্ত লাভার সাথে উঠে আসে মনি- মানিক্য, হীরা।
তেমনি আমার দৃপ্ত-পাষাণ পুরুষ হৃদয়ে
কখনও কখনও জাগে প্রবল মাদকতা;
ইচ্ছে হয় ফুলের সুবাস নিতে।
ভালবাসতে ইচ্ছে হয় কোন নারীকে;
যাকে ঘিরে- যার চরণে বার বার আছড়ে
পড়বে আমার স্বপ্ন, সকল সাধনা।
যে আমার চোখের বারি বিন্দুকে মুছে দিয়ে বলবে-
এগিয়ে চলো সামনে; তোমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
যখন ক্লান্ত হয়ে পড়বে তখন আমি তোমাকে
দেব প্রাণ-প্রদায়ী ভালবাসা- উজাড় করে।
যার বুকের মাঝে থাকবে অফুরন্ত স্বর্গীয় সুগন্ধ;
আমি মৃগ শাবকের ন্যায় তার
চতুর্দিকে করবো ছুটাছুটি।
কিন্তু, সে তো আমার ভিখারীর স্বপ্ন
তা কি পূরণ হওয়ার যোগ্য?
আছে শুধু হতাশা, দুঃস্বপ্ন, দুরাশা।
তাই আজ বলতে হয় রবি ঠাকুরের মত-
মিনতি তোদের জানাই আবার
ভালবাসিবার মোর দে রে অধিকার।

ঝড়ের পাখি
১৪-০২-২০১৪

একুশ মানে

একুশ মানে রক্ত রাঙা
গোলাপ ফুলের হাসি,
একুশ মানে সোনার স্বদেশ
হৃদয় দিয়ে ভালবাসি।।
একুশ মানে বায়ান্নতে
বীর শহীদের রক্ত।
একুশ মানে চৌদ্দ কোটি
বাংলা ভাষার ভক্ত ।।
একুশ মানে শহীদ মিনার
বরকতেরই হাসি।
একুশ মানে লক্ষ মায়ের
অশ্রু রাশি-রাশি;
একুশ মানে গাঁয়ের চাষি-
হাসি ভরা মুখ,
একুশ মানে সোনালী ধান,
ভালবাসায় বুক।
একুশ মানে ছালাম ভায়ের
লাল টকটকে খুন,
একুশ মানে পাগলীনি-
ভাইহারা এক বোন।।
একুশ মানে রক্তজবা,
হাস্নাহেনা ফুল,
একুশ মানে বাংলা ভাষা,
ভাঙল শত ভুল।।
একুশ মানে শফিউর জনক
গর্বে ভরা বুক।
একুশ মানে বিশ্ব ব্যাপী
উজ্জ্বল বাংলা মায়ের মুখ।
ঝড়ের পাখি
২০-০২-২০০১

সংস্কার

তুমি আমার দূর্বা ঘাস
পূজার বেল পাতা
কিংবা তুমি আমের মুকুল
না কুড়ানো জবা।
কিংবা তুমি মলন খুঁটি,
ছিকেয় রাখা আচার;
আঁকড়ে রাখা সংস্কারের ঝুঁটি-
ছাড় না দেয়া হাজারো বাছ-বিচার।

বন্ধুর লাগি

যেদিন বন্ধু চলে যাবো--
রেখে যাবো স্মৃতি কিছু পিছু;
যেদিন আমি হারিয়ে যাবো--
দূর অজানার ঠিকনাতে-
কোথাও খুঁজে পাবে না'তো তুমি,
খুঁজবে তুমি আমাকে যে--
দুষ্ট চোখে থাকবে চেয়ে,
আমার এই পথ পানেতে।
খুঁজবে তুমি আমায় প্রিয়
তোমারই ঐ মনের মাঝে
পিছু স্মৃতি দেবে ব্যাথা তোমাকে।
ভুলতে যাবে তুমি মোরে
কাদবে তুমি অশ্রুহারা কঠিন আঁখিতে-
নিশিত রাতে স্বপ্ন দেখে
জাগবে হটাৎ চমকে!
আমার স্মৃতি পড়বে মনে
উঠবে ও বুক ছমকে।
কন্ঠ ছিড়ে আসবে তখন কান্না।।
ঝড়ের পাখি
১৮-১২-০০

বৃথা আস্ফালন

আমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না
গিজ গিজ করে মাথায় পোকা-
কুরে কুরে খায়-
আমি ভীষণ অসহায়।
আমি ভীষণ অস্থির
দানা বাঁধে অনিশ্চয়তার তীর।
হুট হাট - ঘুট ঘাট
করে ফেলি লুটপাট।
ছন্নছাড়া, হতচ্ছাড়া
পাগলাটে এক রগচটা-
ইচ্ছে করে দেই হাটা
অজানাতে বাড়িয়ে পা' টা-
আমাকেই চিনছি নিত্য নতুন
তোমায় চেনা বৃথা আস্ফালন।
ঝড়ের পাখি
১৫-০৪-১৫

হার- জিত

ভাবছো আমি হেরেই গেছি;
জিতেই গেছো তুমি!
ক্যামনে তুমি পার পাবে হায়
করে আমায় অসহায়।

সমতল

আমার কি দোষ বলতে পারো?
এই চোখে ওচোখ রাখতে পারো- 
জবান যদিও মিথ্যা বলে 
চোখ করে না ছল!
মনটা আমার নয় যে গভীর
সে যে সমতল।

রাগ, অভিমান

রাগ, অভিমান দেখলে তুমি
ভালবাসা বুঝলে না;
কষ্ট পেয়ে দূরে গেলাম
কাছে কেন ডাকলে না।
আমার অনুভূতি প্রকাশ এমনই
একটু খানি খটমটে
কি করবো বলো কাঁদতে পারিনা
হয়ে গেছি খটখটে।
এখন আর কাল বৈশাখী নই
শ্রাবণ হয়ে ঝরতে চাই।
অল্প-স্বল্প নয়রে সখি
অনেককক খানি পাইতে চাই।

আত্মঘাতী

তোমায় যত আঘাত করি
আহত হই আমি;
পুড়ে মরি অহর্নিশ
আমার লাগানো আগুনে।
তোমায় যখন কাঁদাই আমি
নয়ন ভেজে জলে-

ভৃত্য-২

চিত্ত মোর করে নৃত্য,
তবু সিস্টেমের ভৃত্য।

তুমি নাটাই আমি ঘুরি

তোমার হাতের রঙিন চুড়ি
আমার মনে বাজায় তুড়ি;
কিংবা তুমি দুষ্ট বুড়ি,
আমায় নিয়ে ওড়াও ঘুড়ি-
তোমার হাতে নাটাই সুতা
আমি বৃথা উড়েই মরি।

প্রথম প্রেম

নতুন করে পাবো বলে তোমায় নিয়ে খেলেছিলাম;
অনেক না পাওয়ার ভিড়ে তোমায় আবার চেয়েছিলাম।
আশা ছিল অনেক কিছু
পাইনি আমি কোন কিছুই
তবু তুমি আমার ভালবাসা
আমার প্রথম প্রেম।

হরি

আমি যদি আমার মাঝে তোমায় খুঁজে মরি
তুমি তখন কেন বৃথাই খুঁজে ফেরো হরি।

পোকা

মাথার ভিতর গুনগুনিয়ে যাচ্ছে যে এক পোকা,
পোকা নয় অন্য কিছু- কিংবা কোন ধোকা।

মুক্তি

মুক্তি তোমায় দিয়েছি মুক্ত পাখির মতো
উড়ো তুমি যেথায় খুশি নিজের ইচ্ছে মতো।
আমি তোমার শিকল নই কিংবা পিছুটান-
কিংবা আমি গাইবো না আর প্যানপ্যানানো গান।

১০ম মৃত্যু বার্ষিকীতে

তোমাকে কক্ষনো জানানো হয় নি যে আমি তোমাকে ভালবাসি কতটা। কিংবা তখন জানতামই না যে তোমাকে আলাদা ভাবে ভালবাসি বলতে হয়। তোমার সাথে সব সময়ই একটা দ্বান্দিক সম্পর্ক আমার। তুমি কক্ষনোই আমার প্রতি তোমার দুর্বলতা প্রকাশ হতে দাও নি। কিন্তু আমি জানতাম তুমি আমাকে অনেকখানি ভালবাসো। আমাকে নিয়ে তোমার স্বপ্ন ও সাধ ছিল অনেক বেশি। তোমার কঠোরতা আমাকে এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে শিখিয়েছে- আমি টিকে আছিও। শুধু তুমি নেই......
তুমি নেই বলে অনেকেই সেই জায়গাটা নিতে চায়; কিংবা তোমার শুন্যতা পূরণ করে দিতে চায়। কিন্তু কি একটা অদৃশ্য শক্তি আমাকে তাদের থেকে আরো দূরে ঠেলে দেয়। তারা হয়তো আমাকে ভুল বোঝে। কি আর করা...
কাল সারাদিন ছিল তুমিময়। কাল সারাদিন ছিল আমার মন ভারাক্রান্ত। নিজেকে বন্দি করে রেখেছিলাম। প্রতি বছর এই দিনটা আমার সবচেয়ে খারাপ যায়। তবু আমি এই খারাপ লাগটাকে আঁকড়ে রাখতে চাই। কাল মানে ৯মে তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলে। এই নিয়ে আমার ক্ষোভের অন্ত নেই...... শুধু বার বার করে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে – তুমি কেন চলে গেলে? কেমন করে পারলে আমাকে ছেড়ে চলে যেতে? তুমি তো এত নিষ্ঠুর ছিলে না।
তোমার বস্তুগত স্মৃতি বলতে আছে একটি কাঁথা (মলিন- জীর্ণ)। সেটা গায়ে দিলেই শুধু তোমার স্পর্শ পাই। সেটার দৈন্য দশা দেখে বউ স্বযত্নে তুলে রেখেছে- তোমার ছোঁয়াও আর পাইনা।
সেলফির এই যুগে একটা প্রিন্টেড ছবিও নেই আমার কাছে। কিংবা দূরালাপনি যন্ত্রের সাহায্যে পৌঁছাতে পারি না তোমার কাছে। ছুটি নিয়ে তোমার সানিধ্য নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও- জানা নেই পথ ও পাথেয়। তাই তুমি বিনে আমি একা......
মাঝে মাঝে মনে হয় তোমাকে ভুলতে পারলেই ভাল হতো। বেশিরভাগ সময় যান্ত্রিক এই যুগে ব্যস্ততায় ভুলে থাকি; কিংবা ভুলে থাকার অভিনয় করি। কিন্তু তোমাকে ভোলা আর হয় না......
প্রতি বছর মে মাসের ২য় রবিবার তোমাকে নিয়ে একটি বিশ্ব দিবস পালিত হয়। অনেকেই পালন করে- নানা ভাবে, নানা রঙে...... আর আমি হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরি...... আমি কেন পারি না......
আরও কষ্টের কি জানো আমাকে ছেড়ে তোমার চলে যাওয়ার দিনটা ৯ মে’র আশেপাশে থাকে সেই দিবসটা। এই যেমন কাল ছিল তোমার চলে যাওয়ার দিন... আর আজ সেই দিবস। যা আমার চিতার আগুনে ঘি ঢেলে দেয়......
আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালবাসতে..................
কিন্তু আমি কক্ষনো জানাতে পারি নি আমিও তোমাকে কত ভালবাসি মা......
তোমার ১০ম মৃত্যু বার্ষিকীতে জানাই ‘বিশ্ব মা দিবসের’ শুভেচ্ছা......
যেখানেই থাকো... শত চেষ্টা করলেও আর তোমাকে জ্বালাতে পারবো না......

ফেরা

কেমন আছো? আছো কি সুখে?
দুখে যদি তবে কেন মোরা দূরে? 
আসো তবে নতুন করে ফিরে
সুখে দুখে ভালবাসা, ভালবাসি দুখে।

আবেগের বুদবুদ

ভালবাসা ছাড়া আর আছে কি?
ভালবাসা আদৌও আছে কি?
শুধু আবেগের বুদবুদ -
মন আর শরীরের খুত খুত।

যাওয়া

তোমার কাছে যাব বলে বসে আছি একেলা-
সবাই যায় প্রিয়র কাছে আমার যাওয়া হলো না।

বর্ণান্ধ

লব বড় না হর; তাই নিয়ে আজ দ্বন্দ্ব
তোমার আর আমার মাঝে ঝগড়াও নয় মন্দ।
দ্বন্দ্ব যদি না থাকে তো ক্যমনে পাবো ছন্দ?
যতই মানুষ খুজে ফিরুক অন্য কিছুর গন্ধ।
অমিল যদি না থাকে তো মনের দুয়ার বন্ধ-
দেখবো ক্যামনে রংধনু; হবো বর্ণান্ধ।

ভালবাসার জোনাকি

তোমায় আমি কি শেখাব
বলতে পারো সখি?
সখির সাথে শখ মেলে না-
তাইতো আমি দুখি।
তুমি শুধু দেখো নাকো; আমি দেখি
কিংবা দেখে পাখি -
মনটা আমার কেঁদে মরে
তবু শুস্ক থাকে আখি।
কিংবা জানে জোছনা আর
মিট-মিটানো জোনাকি-
ভালবাসা তবে কি হায়!
নাক - কানের সোনাকি?

আত্মমগ্ন

তোমার যদি ইচ্ছে করে
তাইলে ভালবেসো
নইলে তুমি ইচ্ছে ডানায়
সাগর জলে ভাসো।
বাসি ভাল বলছি আজো
আগের মতো-
তুমি শুধু নতুন করে
নিজেকে নিয়ে মাতো।

স্যরি

মানুষ হিসেবে আমরা মাঝে মাঝে অন্যকে ভুল বুঝে প্রতিপক্ষ (শত্রু) বানিয়ে ফেলি। নিজের গণ্ডিকে আর বেশী সংকীর্ণ করে তুলি। তার চেয়ে ভাল হয় বন্ধু বানিয়ে নিজের দল ভারী করা। নিজেকে শক্তিশালী করা।
শত্রু বানালে নিজেই দুর্বল হয়ে যেতে হয়; আর বন্ধু বানালে নিজের হাতকে শক্তিশালী করা হয়।
আমিও চলার পথে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধু কিংবা পরিচিত জনকেই প্রতিপক্ষ বানিয়েছি...
তাদের সাথে আজ যোজন যোজন দূরত্ব। ইস যদি আবার ফিরে পেতাম।
জানি তোমরা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় আমাকে আঘাত করেছো, আহত হয়েছি আমি... তবে আমিও নিরপেক্ষ ছিলাম কিনা? তাই ভাবাচ্ছে আমাকে......
তোমাদেরকেই বলছি.........

মেক আপ

তোমাকে জানতে চাই
জানাতে চাই আমাকে;
ভালবাসি শরীর-মন
তোমাকে চাই তামাকে।
ভালবাসি সেলফি,
শুধু নিজেকে
দিন রাত ক্লান্ত নই
সাজাতে আর মেকাপে।

ক্ষোভ

আমায় নিয়ে তোমার যখন এতো অভিযোগ-
নাই বা যদি থাকি আমি আর রবে কি ক্ষোভ?

সেলফিশ

জীবনে না জানি আপনি কতই আত্মত্যাগ, স্বার্থত্যাগ করেছেন।
যার জন্য করেছেন- সে কি জানে?
কিংবা আদৌও কি সেটি তার কাজে আসবে?
কিংবা সে কি চায় আপনার আত্মত্যাগ?
মানুষ নিজেই তার ভাল করতে পারে না- আর অন্যের?
সো বি সেলফিশ, সেলফসেন্টার।

ব্যস্ত

কবি এখন ব্যস্ত চাল আর চুলায়-
তুমি মিছে খোঁজ তারে আবেগ মাখা ধুলায়,
ধুলা সে তো ঝেড়ে ফেলা অতীত।
শুনবে না আর প্যানপ্যানানো গীত।

প্রেমে মজেছি

নিত্য এখন নিজের প্রেমে মজেছি যে সই
তোমায় নিয়ে কাব্য করার সময় মেলে কই?
তুমি থাকো তোমায় নিয়ে- নেইকো অভিযোগ।
আমি এখন নই আবেগী, করি উপভোগ।

তুমি বড়ই দুর্বোধ্য

মাঝে মাঝে হঠাৎ করে তুমি বড়ই দুর্বোধ্য হয়ে ওঠো...
আর আমি হয়ে যাই ক্যাবলা।
তখন বড্ড একা একা লাগে...
মনে হয় আমি দাঁড়িয়ে আছি কোন 
দিগন্ত হীন ফাঁকা মাঠে...
মাথার উপর নীল আকাশটা চারিদিক দিয়ে ঘিরে ধরে...
নিঃশ্বাস নিতে বড্ড কষ্ট হয়...
বুক টা ধড়ফড় করে...
হৃৎপিণ্ডটা আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চায়...
আর আমি হা পিত্ত্যেশ করে মরি...
সত্যি বলছি- তুমি ছাড়া আমি বড় একা......

একদিন- সারাদিন

তুমি যদি একদিন-
ভালবাসি সারাদিন।
তুমি যদি একবার-
ফিরে আসি বার বার।

বিলুপ্তি

মাঝে মাঝে হঠাৎ করে মন খারাপ হয় ভারি-
ইস! যদি পারতাম দিতে সব কিছুর সাথে আড়ি।
ভাল হতে চায় না রে মন; খারাপ হবো খালি-
ইছে মতোন আচ্ছা করে দিতে পারতাম গালি।
আমি নাকি রাগী ভীষণ! সবাই করে অভিযোগ-
ভেবে ভেবে পাই না- ক্যামনে সারবে এ রোগ?
পাই না কিছুই মনের মতোন- নিত্য মানিয়ে নেয়া-
কম্প্রোমাইজ, টিকে থাকা আর তো না যায় সহা-
অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে, কিন্তু আরশোলা সহস্র বছর ব্যাপী টিকিয়া রহিয়াছে। 
তেলাপোকা হয়ে টিকে থাকবো নাকি স্ব-গৌরবে বিলুপ্ত হবো।?

দেখে যেও আমাকে

দেখতে যদি ইচ্ছে হয়-
দেখে যেও আমাকে।
সুখে আছি না আছি দুখে;
দেখে যেও আমাকে।
এখনও কি তোমাকে নিয়ে
ঝড় ওঠে এই বুকে?
এই মেয়ে, এই মেয়ে...
দেখে যেও আমাকে।
সূর্যটা ওঠে আজ আকাশে,
ফুলের সুবাস পাই বাতাসে,
রাত্রি আসে আজও আসে দিন,
বুকের এখানে করে চিন চিন।
চোখের জলে আমি
যাই নেয়ে...
এই মেয়ে, এই মেয়ে......
দেখে যেও আমাকে।
এখনও তো হাসে ঐ পরীরা,
আঁচল ওড়ায় ঐ নারীরা,
বাঁকা চোখের ঐ ইশারায়-
ডাকে তারা ডাকে আমায়।
তাহলে কেমনে বল ভুলি তোমাকে?
তাইতো এই গান যাই গেয়ে-
এই মেয়ে, এই মেয়ে......
দেখে যেও আমাকে।
ঝড়ের পাখি
১০-১২-০৩

ভালবাসি

তোমাকে ভালবাসি ততটা---
যতটা ভালবেসে ভেসে যায় বুকটা।

মন আর মস্তিষ্ক

মন আর মস্তিষ্ক ২ শব্দের অদ্যাক্ষর 'ম' দিয়ে। অনেকেই বলে থাকেন এ দুটি নাকি এক এবং অভিন্ন। তবু প্রায় সবাই ২টির অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় নির্দেশ করে। একটি মাথায় আরেকটি বুকে।মস্তিস্কের অবস্থান হিসেবে মগজকে চিহ্নিত করা সম্ভব হলে, আজও পর্যন্ত মনের অবস্থানকে নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়নি বলে জানি।
অনেক অনেক আগে মানুষ নামক প্রানিটির মনের আয়তন মস্তিকের আয়তন চেয়ে বিশাল ছিল বলে ধারণা করা হয়। মানুষ যত বেশি যৌক্তিক হয়েছে তার মস্তিকের আয়তনও বড় হয়েছে। সমান্তরাল ভাবে ছোট হয়েছে তার মন।মস্তিষ্ক কর্তৃত্ব করতে শুরু করেছে মনের উপর।
মানুষ শব্দটিকে অনেকেই ভাঙেন মন (আবেগ) +হুশ(মস্তিষ্ক)=মানুষ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ যৌক্তিক হতে হতে যদি আবেগ (মন) শুন্য হয়ে পড়ে তবুও কি তাকে মানুষ বলবো?
নাকি বিরাট মস্তিষ্ক এর নতুন কোন প্রানি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।

বুড়িয়েছি

আমার খুবই অল্প চাওয়া,
একটু নয়- গোটাটাই পাওয়া।
তুমি ভাবো বুঝি বদলে গেছি-
নাগো না; একটু বুড়িয়েছি।

অমিল

তোমাকে আর হল না পাওয়া,
তোমার সময়ে -সুযোগে আমি হাওয়া
আমি তখন ক্যারিয়ারের পিছে।
তুমি তখন আমার পিছে ঘুরে মরো মিছে।
এখন আমার অঢেল সময়
ব্যস্ত তুমি থাকতে কর্মময়।
আবার যখন হবে তোমার -
সময় হবে আমার চলার...

জল কেলি

তোমার সাথে আমি এখন 
নিত্য সময় থাকি। 
তুমি থাকো নাইবা থাকো
আমি আছি সখি।
যেভাবেই হোক যেমন করেই-
খেলবো আমি হলি;
রঙ না পাই আপন রঙে-
মন রাঙিয়ে ফেলি।
জল না পাই চোখের জলে
খেলবো জল কেলি।

কবিতা মানে

কবিতা মানে প্রেম; কক্ষনো বা দ্রোহ;
তোমার প্রতি আমার জমানো হাজারো বিদ্রোহ।
কবিতা মানে মিথ্যে যে সব- যত সব বায়বীয়;
তোমার প্রতি বাউন্ডেলে আমি হয়ে যাই নমনীয়।
আকাশ রাঙা, বাতাসী ঘ্রাণ- মিলবে না কভু পরিত্রাণ-
সহসা জেগে ওঠা ক্ষোভ - নিমিষেই হয়ে যায় ম্লান।
কবিতা মানে বাজারের লিস্টি ভুলে শাব্দিক মিষ্টি।
কক্ষনো বা স্বাভাবিক উচ্চারিত হাজারো খিস্তি।
কবিতা মানে শরীর-মন; সম্মতি বা ধোঁকা,
বিরহ-যাতনা, মাথার ভিতর শত শত শব্দ পোকা।

ছুটি

কবিতা তোমায় আজকে দিলাম ছুটি
তুমি খাও ভাত; আমার জন্য শুকনা ২ খানা রুটি।

এলোমেলো মন

এলোমেলো মন খোঁজে সারক্ষন
শুধু তোমাকে, শুধু তোমাকে-
আনমনে, অনুক্ষণ অগোছালো ভাবে
তোমাকে আঁকে, তোমাকে আঁকে।

কাব্য

খুব স্বাদ ছিলে তোমাকে নিয়ে একখান কাব্য লিখে ফেলবো-
সেখানে থাকবে আমার সজানো না বলা সকল কথা গুলো।
তোমাকে নিয়ে কাব্য করা ছাড়া আর কিছুই আমার মাথায় আসে না।
না ঘুরতে যাওয়া; চুপিসারে অভিসার, নদীর পাড়ে হাত ধরে
একই পথে বারবার হেঁটে যাওয়া।
তোমাকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বাধ ও স্বপ্নও জাগে না বিন্দুমাত্র।
তবু ভালবাসার অদম্য ইচ্ছাটা জেগে থাকে অষ্টপ্রহর।

মন খারাপ এর কারণ

তোমার সব মন খারাপ হয়তো আমার কারনে নয়-
আমার অধিকাংশ মন খারাপ কিন্তু তোমাকেই ঘিরে হয়।
মাথাটা তখন ভীষণ বেইমানি করে; 
বড্ড বেশি ধুক পুক করে বুকটা।
ঘুমে চোখটা বুজে আসতে থাকে-
আর মাথাটা করতে থাকে বোঁ বোঁ;
আর আমি ঘুরে বেড়াই ভোঁ ভোঁ

নিঃশব্দ কলরব

তুমি আমার বন্ধু-সখা, তুমি আমার সব,
তুমি আমার চর্তুপার্শ্বে নিঃশব্দ কলরব।

ভালবাসা

নয়ন জলে বাঁধবো তোমায়-
রাখবো যে ফের স্বপনে।
বাসবো ভাল তোমায় ভালবাসার
মৃদু মৃদু কাঁপনে।

আলেয়া

নেশাতুর চোখ দুটো গভীর থেকে গভীরে তলিয়ে যায় 
তপ্ত ভেজা ঠোটেরাও মেতেছে কিলবিলানো আলেয়ায় 
প্রেম তুরুপের ইস্কাপন জুটে গেছে সখী ! 
প্লিজ জড়িয়ে ধরো;
ভাব জমেছে যে আজ ফুলেদের আস্তানায় .. ! ! !

ঘর সংসার

কোন এক স্বপ্নিল রাতে তোমার সাথে হাতে হাত রেখে স্বপ্ন বিলাস করবো বলে হাতে হাত মিলিয়েছি।
তোমার সাথে হাজারো পথ পাড়ি দেবো বলে 
পা বাড়িয়েছি।
তোমার সাথে বাকি জীবন এই বিশাল পৃথিবীটাকে দেখবো বলে 
নিজেকে হারিয়েছি-
আর তুমি মিছে চাল নুন আর ডালের খোঁজে আমাকে করেছো
ত্যক্ত-বিরক্ত।
আমি হয়ে যাই অতিষ্ট।