Search This Blog

সৌন্দর্য হরণ

কাল এক সুন্দরীকে দেখলাম-
শুধু সুন্দরী নয়; অবশ্যই রূপসী।
গোধুলীর ম্লান সৌর রশ্মি যখন
মেঘের সাথে মিলে এক মোহময় বর্ণের সৃষ্টি করে-
গায়ের বর্ণটি তদ্রূপ।
দেখা মাত্র দৃষ্টি গেল আটকে!
উগ্র সেন্টের- সুগন্ধে মন
হয়ে ওঠে মাতোয়ারা।
মরিয়া হয়ে ওঠে মন।
জাগে দিদৃক্ষা।

পৃথিবীতে কত না সুন্দরী
আছে চারিপাশে।
কিন্তু সবাই কি শুধু চাঁদ হয়ে থাকবে?
তাকিয়ে দেখতে দেখতে
ঘাড় হয়ে যাবে ব্যাথা
চোখে ধরবে জ্বালা।

কেন? কেন ঐ চন্দ্রমুখীদের
ছুঁতে পাবো না? কেন
থাকবে না তারা মোর
সমান্তরালে?
কেন শুধু দিবা স্বপ্ন
দেখে দেখে মনটাকে
আর কত দিন আন্দোলিত
করবো? আর কত দিন
বেহায়ার মত শুধু
করবো সৌন্দর্য হরণ।
ঐ সুন্দরী অপ্সরীটাতো
আমার হাত ধরে চলতে
পারতো।
পাড়ি দিতে পারতো
শত দুর্গম, কঙ্কটাকীর্ণ
পথ। হতে পারতো
আমার সহযাত্রী, সহজোগী।

না, না, তা কক্ষনোই হবে না,
তা হবার নয়!
কেননা, আমি তো ইঁদুর কপালী।
শুধু দীর্ঘশ্বাস, হতাশা।
দুঃখের সাগরের অথৈ
জলে খেতে হবে শুধুই
হাবুডুবু।
-       ঝড়ের পাখি

BO-AB-OD

জীবনে তুমি

তুমি আমার,    আমি তোমার,
তুমি আমার     হৃদয় ভুমি,
প্রেম প্রীতি,      আশা ভালবাসা
  রয়েছ আমার হৃদয়ে তুমি।।

তোমার ঐ মুখ,          তোমার ঐ চোখ,
হৃদয়ে জাগায়             অতৃপ্ত ভুখ;
এত সুখ-শান্তি           এত পরিমল।
কোথা পাব আর বন্ধু তোমার মাঝে ছাড়া?

হৃদয় আমার              তোমার লাগি,
যেখানে থাকি             সদা থাকে জাগি,
স্বর্গ হতেও                শ্রেষ্ঠ সে আমার-
        মায়া ভরা ঐ মুখখানি।।

তোমার ঐ রুপ                    তোমার ঐ চুল।
ঝরনা ভাবিলে            তবু হবে ভুল।
পৃথিবীর আমি            যেখানেই থাকি-
 হৃদয় কাড়ে তোমার মিস্তি হাসি।।

দুঃখ সুখে        থেকো তুমি পাশে,
ভরিয়ে দিও      শুধু ভালবেসে;
অন্য কিছু       চাইনা আমি
     তোমার কাছে প্রিয়া।।
-ঝড়ের পাখি
২-১০-০০

চ্যাঁটিং

তোমাকে খুব মিস করছি...
কিন্তু তুমি অধরা হয়েই আছো,
এই আসো- ধুমকেতুর মতো
ক্ষণিকের আলো ছড়িয়ে হারিয়ে গেছো।
আমি খুব রাগ করেছি- পাখি,
সকালে করো না ডাকাডাকি।
পাখি যদি হতাম আমি
ছুটে যেয়ে করতাম লাফালাফি।
দূরে নাহি থাকিতাম
ডানা মেলে উড়ে যেতাম।
----আমার রানীর কাছে......।

তোমার, মাঝে মাঝে কি যে হয়?
আমি বুঝি না,
তবু কেন কথা বলি
আমি জানি না।।
আমি আছি তোমারই পাশে,
যতক্ষণ তুমি আছ আমারই সাথে।
...... যেন  তুমি;
বিশ্বাস রেখ হৃদয়ে।
হাজার রাতের কথা;
যাবে কি এভাবে বলা?
পথে যদি হয় দেখা-
পায়ে পায়ে হবে কথা,
হাতে হাত –
মাঝে নিশ্চুপ,
এটুকুই মোর সুখ।
মনের কথা বুঝে নেবো,
চোখের ভাষা খুঁজে নেবো,
প্রাণে প্রাণ জাগিয়ে দেবো,
মনে প্রাণ মিলিয়ে মিলাবো।।

কথা দিবো না যদি রাখতে না পারি?
তবে যদি ডাকার মতো ডাক ফেলতে না পারি।
অভিলাশ আছে মনে মানুষ বলে-
গুনের প্রকাশ করি সকালে বিকালে।
উপদেশ নিচ্ছি, শুনছিনা কিছুই;
যদিও ভালো ছেলে- তবুও ছাড়ছি না পিছু ই।
ভালবাসায় ভালবাসা ভালোবেসে ভালবাসবো...
রাগ করো না অভিমানী,
কান ধরেছি এই আমি,
যদি না দেই শরীরে হাত-
কিভাবে কাটাবো পথ?
হোক না হোক বদনাম;
তবুও নেব তোমারি নাম।

তোমার আবার আমি হবো,
আমার হবে তুমি।  
তোমার ঠোঁটে ঠোঁট ছোয়াবো-
দেবো ও ঠোঁট চুমি।
কিভাবে বোঝাবো তোমাকে-
ভাষা যে নাই মুখে?
ক্লান্ত আমি হবো না, তবে
ঘাম ঝরবে সুখে।
ঘামবারি যদি হয় সুধা মৃদু?
তবে অমৃত তোমার অশ্রু
পান করবো- এক নিঃশ্বাসে।
অকৃত্রিম ভালবাসা আর বিশ্বাসে।
আশা করি প্রণয়ের...  
কারণ আমি জীবিত।
যেদিন সে আশা থাকবে না,
ভেবে নেবে মৃত।
                             -ঝড়ের পাখি
                             ১১-০৭-১৪

তোমায় হারালে

বোকা তুমি
পাকা বুড়ি
হাতের চুড়ি
ফেলল ভেঙে
কান্না মাঙ্গে
মাঙ্গলে কি আর সব মেলে
সব পাওয়া
হবে হাওয়া

তোমায় হারালে...

জীবনের লক্ষ্য

মাতৃ ভাষা বাংলা- তাই পড়ি না বাংলা,
পরীক্ষা শেষে খাতায় পাই যে আন্ডা।
গনিতে অ্যালজেবরা আর ত্রিকোণমিতি,
 লাগে না ভাল কষতে জ্যামিতিক, পরিমিতি।
ভূগোলে পড়েছি আমি পৃথিবী নাকি গোল?
ইতিহাসের যুদ্ধ বিগ্রহ দেখে হয়ে যাই পাগোল!


অর্থনীতি, পৌরনীতি লাগে না মোটেই ভালো;
পদার্থেরই নাম শুনলেই মুখ হয়ে যায় কালো।
কৃষিতে ভাল লাগে না চাষ- বাসেরই কথা,
হাইয়্যার ম্যাথে গেলেই আমার মাথা করে ব্যাথা।
ইংরেজীর নাম শুনলেই জ্বর আসে গায়ে!
ধর্মকে দেখলেই পালাই আমি ভয়ে!

রসায়নে রস পাই না, জীবে পাই না ভাষা,
আমি নাকি ডাক্তার হবো বাপ-মায়ের এই আশা!!!


- ঝড়ের পাখি
৩-৯-০০