Search This Blog

নোবেল

শাপে বর (মালালা), বরে শাপ (ইউনুস);
পাপে মৃত্যু, লোভে পাপ,
দেবো নাকি সাগরে ঝাঁপ?
জীবন জুড়ে কত অনুতাপ-
আমার কবে হবে বল বাপ?
অনেক কিছু করেছো তুমি;
ছোট্ট একটু এই বয়সে।
তোমার বয়সে আমি ঘুমিয়ে
কিংবা বাথরুমে বা নেটে ...
অভিনন্দন তুমি আমার প্রজন্মের
উদ্বুদ্ধ আমি অনুপ্রানিত।

ফিরে পাওয়া

আজকের সন্ধ্যাটা প্রতিদিনই চাই
এই তোমাকেই যেন সারা জীবন পাই,
ভালবাসি তোমার এই পাগলামি
অল্প আলোয় চোখের তারার ঝলকানি।

চিক চিক করে ওঠা ইচ্ছে গুলো
ডানা মেলুক গোটানো পাপড়িগুলো,
গুন গুন গুনিয়ে যাও তুমি
সেই সুরে সাহস পাই আমি।
আধার টা আলো হয় হাসিতে
আমি শুধু চাই ভাল বাসিতে।
-ঝড়ের পাখি
২২-১০-১৪

ফেসবুক বন্ধুত্ব

মনে করো আমি বেঁচে নেই-
মরে গেছি কোন সকালে;
ট্যাগাচ্ছি না তোমাকেই আর
ছবি কিংবা লেখাতে।

স্ট্যাটাস আর দিচ্ছি না রোজ
রাত্রে কিংবা বিকালে।
পাবে না আর আমাকে খুঁজে-
মুখবই এর দেয়ালে।
Like, Comment, Share দিচ্ছি না
করছি না চ্যাটিং কিংবা পোক।
নাই বা চিনলে কিংবা জানলে-
আমি তবুও তোমাদেরই লোক।
-ঝড়ের পাখি
২৩-১০-১৪

সংসার

ভালবাসতে চাই,
ভালবাসাতে চাই।
ভালবাসবোই বলে
ভালবেসে যাই।


হেসে যাই
কভু কেঁদে যাই।
বাঁচবোই বলে
কেঁদে হেসে যাই।

প্রপোজ

তোমাকেই বলে দেবো কাউকে না বলা কথা গুলো-
দিয়ে দেবো তোমাকেই ধুলা পড়া স্বপ্ন গুলো।
একাকি কাটানো বিষন্ন ধূসর স্মৃতির ট্যাঙ্ক।
মরছে পড়া পুরোনো পয়সার মাটির ব্যাংক।

মলিন হয়ে যাওয়া ভঙ্গুর ডায়রির পাতা,
তোমার নামে আঁকা মাধ্যমিকের অঙ্কের খাতা।
ভুলেই যাবো তোমাকে নিয়ে নিদ্রাহীন রাত্রি জাগা,
তোমার দেয়া অবহেলা, করুণা, লাঞ্ছনা, দাগা।
পাশে থেকো না, আশে থেকো- স্মৃতিতেই রেখো।
ভুলিয়ে দেবো রাগ, অভিমান, কষ্ট, সুখ- দুঃখ।

-ঝড়ের পাখি
২৫-১০-২০১৪

গল্প

গল্প লিখতে বলো আমায়...
কি গল্প লিখি বলো?
গাল গল্প না আষাঢ়ে গল্প।
গুজব মিশলে হয়ে যায় গল্প-গুজব।
গল্পে নাকি গরু গাছে ওঠে।
তবুও কি বলবে - গল্প লিখতে?
গল্পের ধরনে এবং বৈচিত্রে নিজেই মাঝে মাঝে গল্প হয়ে যাই।
ছোট গল্প, বড় গল্প- মাঝারি গল্প হয় কি না জানি না।
প্রেমের গল্প, ভালবাসার গল্প কক্ষনো আবার জীবনের গল্প।
সুখের গল্প, দুখের গল্প, কষ্টের গল্প, আনন্দের গল্প।
তোমার গল্প, আমার গল্প, আমাদের গল্প-
গল্প লিখতে গিয়ে কবিতা লিখে ফেললাম না তো?

ধর্ষণ

সইবো না আর-
আমার আকাশে (তোমার) শকুনের ওড়াউড়ি,
শেয়াল, হায়েনার নেশাতুর ঘোরাঘুরি।
চাই না হতে কুঁড়িতেই বুড়ি।
ডিঙিয়ে যাবো সব বাঁধা বাজিয়ে তুড়ি।
অলক্ষ্মী, অপয়া, কুলটা, দেবো ফিরিয়ে;
আমার চোখে রাঙানো চোখ দেবো পুড়িয়ে।
[কিছু দিন ধরে পত্রিকায় দেখছি বেশ কিছু ধর্ষণ, ধর্ষণের পর মৃত্যু (মানসিক ট্রমা, সামজিক লাঞ্ছনা, পারিবারিক অত্যাচার এগুলোতো আছেই )। যা আমাকে বেশ যন্ত্রণা দিচ্ছে। খুব কষ্ট পাচ্ছি।
এর থেকে মুক্তি কি?
ঘুরে দাঁড়ানো......... আঘাত করা, বুঝিয়ে দেয়া- আমি ভাগাড়ের মৃত প্রাণী নই। আমারও রয়েছে বুদ্ধি, বিচক্ষণতা, কৌশল (ষোলকলা)। আগ্রাসী বাঘের চোখে চোখ রাখতে পারলে না কি বাঘ পিছু হটে যায়; পুরুষ রুপী জানোয়ার- তুই তো ছাড়।
তোমাকেই বলছি বন্ধু ......
কৌশলী হও!
ঘুরে দাঁড়াও!
আওয়াজ তোল!
পুড়িয়ে দাও আমাকে!
পুড়ানো ছাই, দাও উড়িয়ে!]
-ঝড়ের পাখি
২৬-১০-১৪

অপেক্ষা

আসলে না তুমি আজো
মন বসে নি কাজেও
অপেক্ষা
ক্যামনে হবে তাইলে
দেখা না পাইলে।

হও যদি বিরক্ত
করবো না আর ত্যক্ত;
তবু তুমি আসো
একটু খানি হাসো।
তোমার ঐ হাসিতে
ভালবাসা বাকিতে
বিলিয়ে দেবো
তোমারই হবো।
-ঝড়ের পাখি
২৬-১০-১৪

ভুল ভুলাইয়া

ভুল বুঝে দূরে গেলে ভুল ভাঙাবো না।
ভুল ভুলে ভুল হলে ভুল বুঝবো না।
মিছে আর বৃথা আমি ভুল খুজবো না।
ভুল গুলো ভুলই থাক সুধরাবো না।

-ঝড়ের পাখি
২৭-১০-১৪

আক্ষেপ

আমাদের নেই বাড়ি, নেই কোন ঘর;
থাকি মোরা হেথা সেথা- তাই যাযাবর।
সাধ আছে- নেই ছাঁদ; ভূমির কাঙআল,
বউ বলে, গাড়ি-বাড়ি- করি বাওয়াল।

সাধ তোর সাধ্য মোর

ওরে আমার ময়না-
করিস না আর বায়না!
তোরে আমি কিনে দিমু ভালবাসার গয়না।
ভালবাসার হামি-
সে যে সোনার চেয়ে দামি।
উষ্ণ আলিঙ্গনে তোমায় জড়িয়ে নেবো আমি।
টিকলি হবে চাঁদ-সুরুজে,
লতা পাতার বিছে।
মিছে কেন ঘুরে মরিস মরীচিকার পিছে।
বৃষ্টি হবে স্নানের শাওয়ার,
রোদ হবে হেয়ার ড্রেয়ার।
আমায় পেয়ে খুশি হয়ে করবি নিত্য প্রেয়ার।
আমার চোখে প্লাজমা টিভি-
বল না আর কী কী নি বি?
চাইয়ে দেখ বিশ্ব-জগৎ - মাঙার আগেই পাবি।
-ঝড়ের পাখি
২৮-১০-১৪

যুদ্ধ

করছি যুদ্ধ নিরন্তর-
দিবা নিশি অষ্ট প্রহর।
যুদ্ধ হচ্ছে তোমার সাথে
চুপ কথায় হাতে পাতে।
কিংবা গলির রিকশাওয়ালা,
সবজি, মাছ ও বাড়িওয়ালা।

বউ শ্বাশুড়ির যুদ্ধে...
তুমি আমি মুগ্ধ।
বস কলিগের যুদ্ধ
প্রফেশনালিজমের গন্ধ।

দেশের সাথে, ধর্মে-ধর্মে
রাজনীতি আর কর্মে,
এগুলা সব পুরান খবর,
কথায়, লেখায়, লাইকে কবর।

এসো তাই যুদ্ধ করি, যুদ্ধ নয় মরণ
যুদ্ধই জীবন, যুদ্ধই সার্ব্বজনীন।

             -ঝড়ের পাখি
              AO-AO-AD

ভালবাসার ছন্দ

তুমি আসতে যখন বিদ্যালয়ে;
        থাকতাম তোমার পথ চেয়ে,
চুপি চুপি আড় নয়নে
        চাইতাম তোমার পথপানে।
মৃদু মৃদু হাসি তোমার
        তীর বসাত বুকে আমার।
চাইতে যখন আমার দিকে
        বদন খানি হতো ফিকে।
কোন মোহিনী যাদু বলে
        প্রেম নামেরই মায়াজালে,
অদৃশ্য এক আকর্ষণে
        পুলক আমার জাগত মনে।

চলন তোমার বলন তোমার বলন তোমার
        সব কিছুতেই ছন্দ।
সেই ছন্দ দেখেই
        লেগে গেল ভালবাসার দন্দ।
নামটি তোমার মধুর অতি,
        চোখ ধাঁধানো রুপ।
ঐ কাজল চোখের চাহনিতে-
        কাঁপত আমার বুক।
যতক্ষণ থাকতে তুমি
        আমার নয়ন জুড়ে,
দেখতাম তোমায় চুপিসারে
আমি বারে বারে।

যখন আমি একা থাকি
        কল্পনার তুলি দিয়ে
ভালবাসার রং নিয়ে
        তোমার ছবি আঁকি।
এই যদি হয় ভালবাসা-
        ভালবাসি আমি।
তুমিই বল বিচার করে
        করেছি কি দোষ আমি।
                        -ঝড়ের পাখি

                        BE-OB-OC

ঈদের খুশি

এসেছে ঈদ, নাইযে নিদ;
দু’ চোখেতে আজ রাতে।
কাল সকালে করবো যে ঈদ
গরীব দুখী এক সাথে।
থাকবে না আজ ক্সত-ক্লেশ,
দুঃখ ভুলিয়া হাসবো।
একসাথে মোরা গলাগলি
করে আনন্দেতে মাতবো।

থাকবে না কেউ চুপটি মেরে
একাকী ঘরের কোণে;
আসবে সবাই ঈদের মাঠে
হাসি খুশি মনে।
ফিরনি পায়েস খাবো মোরা
করে কাড়াকাড়ি।
ধরা থেকে সব দুঃখ উবে
যাবে তাড়াতাড়ি।

বাড়াবাড়ি হোক না আজ
মা-বাবা কেউ বকবে না,
খেলবো সবাই হাসি খুশি মনে
ধমক দিয়ে কেউ ডাকবে না।

মনের জানালা খুলে দেবো আজ
সংকীর্ণতা রাখবো না।
ঘুনে ধরা সমাজটা আর
এমন ভাবে থাকবে না।
শপথ নিলাম নবীনরা মোরা
মহা মিলনের দিনে-
ধরাটাকে মোরা সাজাবো আবার
ফুল ফসল আর গানে।
                -ঝড়ের পাখি

                OD-OE-OB