Search This Blog

সুপেয় পানির সংকটে......


বাংলাদেশের কিছু কিছু অঞ্চল তীব্র সুপেয় পানির সংকটে ভূগছে। কিন্তু, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সুপেয় পানির সংকট ভিন্ন ধরনের চিত্র তুলে ধরেছে। অতীত থেকেই মিষ্টি পানির প্রবাহের সংকট, ১৯৬০ এর দশকের নির্মিত উপকূলীয় বাঁধ, শুক্ষ মৌসুমে নদীর প্রবাহ হ্রাস, লোনা পানির চিংড়ি চাষ, আর্সেনিক দূষণ, ভূ-গর্ভস্থ জলাধারের স্বল্পতা, ভূমির নিন্মগমন, অস্থায়ী মৌসুমী জলাবদ্ধতা গবেষণা এলাকার সুপেয় পানির উৎসের স্বল্পতার জন্য দায়ী। এই বিষয়গুলোর সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের যুক্ততা সুপেয় পানির উৎসের সংকট চরমে পৌঁছিয়েছে। গত সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস গবেষণা এলাকার অধিকাংশ সুপেয় পানির উৎস নষ্ট করে দেয়।

সুপেয় পানির সংকট গবেষণা এলাকার জনগোষ্ঠীর সমাজ ও সংস্কৃতিতে প্রভাব ফেলছে। তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সমস্যার সাথে খাপ-খেয়ে  নেওয়ার চেষ্টার ফলে অভিযোজন কৌশলে পরিবর্তন এসেছে। অভিযোজন কৌশলের পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজ এবং সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান পরিবর্তন হচ্ছে। বসতি স্থাপন এবং জীবিকাপোর্জণ কৌশলও পরিবর্তন হচ্ছে। পানির সাথে সংশ্লিষ্ট্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং পানির ব্যবহারে পরিবর্তন এসেছে। সুপেয় পানির সংকট বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যক্তিক, পারিবারিক এবং সামাজিক উদ্বেগ, উত্তেজনা এবং সম্প্রদায়গত মূল্যবোধেও নানা ধরনের পরিবর্তন এসেছে।

সুপেয় পানির সংকটের সাথে জেন্ডার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নারী এবং মেয়ে শিশুরা সবচেয়ে প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে। তাদের শারীরিক এবং মানষিক সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সুপেয় পানির সংকট স্থানীয় প্রতিবেশ এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পরিশেষে, সুপেয় পানি একটি প্রাকৃতিক উপাদান; কিন্তু সাংস্কৃতিক প্রপঞ্চের উপর শক্তিশালী এবং উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রন এবং আধিপত্য রয়েছে। সুপেয় পানির সংকট ভাববাদ এবং বস্তুবাদের মধ্যে বিদ্যমান বিতর্ককে চলমান রাখে ।

পানি এবং পানীয় সম্পদ রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তাই সুপেয় পানির সমস্যা ক্ষেত্রে বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় পানি সমস্যায় বাংলাদেশ সরকার এবং জনগনের আরো বেশী সতর্ক এবং মনযোগ দেওয়া উচিত।
সারসংক্ষেপ

বাংলাদেশের কিছু কিছু অঞ্চল তীব্র সুপেয় পানির সংকটে ভূগছে। কিন্তু, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সুপেয় পানির সংকট ভিন্ন ধরনের চিত্র তুলে ধরেছে। অতীত থেকেই মিষ্টি পানির প্রবাহের সংকট, ১৯৬০ এর দশকের নির্মিত উপকূলীয় বাঁধ, শুক্ষ মৌসুমে নদীর প্রবাহ হ্রাস, লোনা পানির চিংড়ি চাষ, আর্সেনিক দূষণ, ভূ-গর্ভস্থ জলাধারের স্বল্পতা, ভূমির নিন্মগমন, অস্থায়ী মৌসুমী জলাবদ্ধতা গবেষণা এলাকার সুপেয় পানির উৎসের স্বল্পতার জন্য দায়ী। এই বিষয়গুলোর সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের যুক্ততা সুপেয় পানির উৎসের সংকট চরমে পৌঁছিয়েছে। গত সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস গবেষণা এলাকার অধিকাংশ সুপেয় পানির উৎস নষ্ট করে দেয়।

সুপেয় পানির সংকট গবেষণা এলাকার জনগোষ্ঠীর সমাজ ও সংস্কৃতিতে প্রভাব ফেলছে। তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সমস্যার সাথে খাপ-খেয়ে  নেওয়ার চেষ্টার ফলে অভিযোজন কৌশলে পরিবর্তন এসেছে। অভিযোজন কৌশলের পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজ এবং সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান পরিবর্তন হচ্ছে। বসতি স্থাপন এবং জীবিকাপোর্জণ কৌশলও পরিবর্তন হচ্ছে। পানির সাথে সংশ্লিষ্ট্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং পানির ব্যবহারে পরিবর্তন এসেছে। সুপেয় পানির সংকট বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যক্তিক, পারিবারিক এবং সামাজিক উদ্বেগ, উত্তেজনা এবং সম্প্রদায়গত মূল্যবোধেও নানা ধরনের পরিবর্তন এসেছে।

সুপেয় পানির সংকটের সাথে জেন্ডার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নারী এবং মেয়ে শিশুরা সবচেয়ে প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে। তাদের শারীরিক এবং মানষিক সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সুপেয় পানির সংকট স্থানীয় প্রতিবেশ এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পরিশেষে, সুপেয় পানি একটি প্রাকৃতিক উপাদান; কিন্তু সাংস্কৃতিক প্রপঞ্চের উপর শক্তিশালী এবং উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রন এবং আধিপত্য রয়েছে। সুপেয় পানির সংকট ভাববাদ এবং বস্তুবাদের মধ্যে বিদ্যমান বিতর্ককে চলমান রাখে ।

পানি এবং পানীয় সম্পদ রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তাই সুপেয় পানির সমস্যা ক্ষেত্রে বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় পানি সমস্যায় বাংলাদেশ সরকার এবং জনগনের আরো বেশী সতর্ক এবং মনযোগ দেওয়া উচিত।

No comments:

Post a Comment